আইনশৃঙ্খলা ২০১৯: চাপে ছিল পুলিশ, সাড়া ফেলে ৯৯৯

গায়েবি মামলায় জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে ভিড়, এ বছরের আলোচিত ঘটনা।  ফাইল ছবি
গায়েবি মামলায় জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে ভিড়, এ বছরের আলোচিত ঘটনা। ফাইল ছবি

বছরের শেষ ভাগে হঠাৎ শুরু হওয়া ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান বা শুদ্ধি অভিযান ছিল তাক লাগানো। এসব অভিযান একদিকে যেমন প্রশংসা পেয়েছে, তেমনি প্রশ্ন উঠেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাহলে এত দিন কী করেছে? তারা কি আগে থেকে এসব জানত না?

অবৈধ ক্যাসিনো–বাণিজ্যের সঙ্গে একশ্রেণির পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও ওঠে ওই সময়। সন্দেহভাজন কিছু কর্মকর্তাকে এ সময় ঢাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তদন্ত আর সে পথে এগোয়নি।

২০১৯ সালে পুলিশের অনেক অর্জন থাকলেও অভিযোগ কম ছিল না। বিশেষ করে মাদক পাচার ও নারী নির্যাতনের সঙ্গে পুলিশের যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে কয়েক দফায়। তবে ঘুষমুক্ত কনস্টেবল নিয়োগ কিছুটা হলেও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। আবার বাহিনীর ভেতরে গড়ে ওঠা বিশেষ ‘সিন্ডিকেট’ ভেঙে দেওয়ার বিষয়টিও আলোচিত হয়। তবে সব ছাপিয়ে মানুষের বিপদে কিছুটা ভরসা হয়ে ওঠে পুলিশের ৯৯৯।

বিদায়ী বছরে জঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে মাদক নির্মূলে সেই পুরোনো ব্যবস্থা ‘ক্রসফায়ার’ই দাওয়াই হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ৪৭৪ মাদক ব্যবসায়ী। যদিও তাতে মাদক কেনাবেচা থামেনি।

 সাধারণ অপরাধ বলতে গেলে পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। বড় কোনো সংঘবদ্ধ অপরাধও হয়নি। তবে বুয়েটে আবরার হত্যা, বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা এবং ফেনীর নুসরাত হত্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের চাপের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। এ ছাড়া গুলশানে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীসহ কয়েকজন সড়ক দুর্ঘটনার হতাহতের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও এসব নিয়ে সোচ্চার ছিল।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল না। অপরাধের ঘটনা ঘটলেও সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

হতাশ করেছে শুদ্ধি অভিযান

১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ‘ক্যাসিনো’ শব্দটি শুনে চমকে উঠল মানুষ। উন্নত দেশগুলোর মতো রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে জুয়া খেলার আধুনিক ও পাকাপাকি ব্যবস্থা। কী নেই এতে! এদিন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে তাঁর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চালানো হয় চারটি ক্যাসিনো ক্লাবে। এর কয়েক দিন পর শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। এই অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও অবৈধ অর্থের অনুসন্ধানে নেমেছে। তারা ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং ৩৪ জনের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়। সর্বশেষ ৩১ অক্টোবরের পরে আর কোনো অভিযান হয়নি। অনেকে বলছেন, শুদ্ধি অভিযান থিতিয়ে পড়েছে।

অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শুদ্ধি অভিযান চলমান থাকবে।

হত্যাকাণ্ডে কেঁপে ওঠে দেশ

৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে পাওয়া গেল আবরার ফাহাদ (২১) নামের এক ছাত্রের লাশ। জানা গেল, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে দেশ। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। পুলিশ খুনিদের গ্রেপ্তার করে। ছাত্রদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হয়ে যায়। বহিষ্কার করা হয় খুনের সঙ্গে জড়িত ২৫ জনকে।

>

জঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে মাদক নির্মূলে ‘ক্রসফায়ার’ই দাওয়াই হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

২৬ জুন সকালের এক বীভৎস ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা গেল, একদল তরুণ তাঁদের বয়সী আরেকজনকে কুপিয়ে চলেছেন আর তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এক তরুণী। হতভাগা এই তরুণের নাম রিফাত শরীফ। তিনি মারা যান। অভিযোগ ওঠে, এই তরুণকে যাঁরা খুন করেছেন, তাঁদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় সাংসদের ছেলে। যদিও রাজনৈতিক চাপে তদন্তের মাঝপথে পুলিশ নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা আক্তারকেও গ্রেপ্তার করে। তদন্ত শেষে ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। রিফাতের স্ত্রীকেও আসামি করা হয়। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছাড়া পান।

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার লালসার শিকার হয়ে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দ্বারস্থ হয়েছিলেন মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা নিলেও আজেবাজে প্রশ্ন করে তাঁর ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেন। অন্যদিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। রাজি না হওয়ায় ৬ এপ্রিল নুসরাতের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় বোরকা পরা পাঁচ দুর্বৃত্ত। ১০ এপ্রিল বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত। ২৪ অক্টোবর এ ঘটনায় ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। তাঁর আট বছরের সাজা হয়েছে।

অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে সাবেক আইজিপি ও সাংসদ নূর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, অপরাধ ঘটেছে, কিন্তু পুলিশ সেসব ঘটনা পেশাদারত্বের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এটা ভালো হয়েছে। পুলিশ যদি অপরাধী ধরতে না পারত, তবে জনমনে ভিন্ন বার্তা যেত।

ভরসা শুধু ক্রসফায়ার

মাদকের ভয়াবহতা রোধে গত বছরের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী অভিযান শুরু হয়। মাদকবিরোধী অভিযানে এ পর্যন্ত বন্দুকযুদ্ধে ৪৭৪ জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। এঁদের মধ্যে কক্সবাজারেই নিহত হন ৩ নারীসহ ১৯২ জন। এই ১৯২ জনের ২ নারীসহ ৪৯ জন রোহিঙ্গা। এ সময় ১০২ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু মাদক কেনাবেচা বন্ধ হয়নি।

জানতে চাইলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কেনাবেচা একেবারে বন্ধ না হলেও কমে গেছে, মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে।

গায়েবি মামলা

ঘটনাই ঘটেনি, মামলা করে রেখেছে পুলিশ। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে পুলিশ দেদার মামলা করে। এসব মামলার লক্ষ্য ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা। এসব মামলার আসামিরা ২০১৯ সালে এসে জামিনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন।

সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, যানবাহন ও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধন, সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা, ককটেল বিস্ফোরণ—এমন সাজানো অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল। নির্বাচনের পর যাঁরা গ্রেপ্তার এড়িয়ে ছিলেন ‘খড়ের গাদা, মেশিনঘর এমনকি কবরস্থানে’, তাঁরা হাইকোর্টে জামিনের জন্য ভিড় করতে শুরু করেন চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে। আসামি হিসেবে পাওয়া যায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, জন্ম থেকে হাত অকেজো, অশীতিপর ব্যক্তি, পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষদেরও।

গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি

বছরের মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ এই গুজব ছড়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর শুরু হলো ছেলেধরা সন্দেহে নিরীহ মানুষকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা। শহর ছেড়ে সে গুজব ছড়াল গ্রাম পর্যন্ত। বছরের প্রথম সাত মাসে ৪৩ জন গণপিটুনিতে নিহত হন। জনমনে এ নিয়ে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সদর দপ্তর এ নিয়ে দফায় দফায় বিবৃতি প্রচার করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তিরা বলছেন, নানা কারণে মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। আবার অপরাধীদের বিচারও ঠিকঠাক হচ্ছে না। মূলত এ কারণে এমন ঘটনা ঘটছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ছিল না।

নির্যাতনের অভিযোগ

নারীর নিরাপত্তাহীনতা যেন বেড়ে গিয়েছিল। শহর কিংবা গ্রামাঞ্চল—সবখানেই পথেঘাটে নারীর জন্য ওত পেতে ছিল বিপদ। কোথাও বেশি, কোথাও–বা একটু কম মাত্রায়। রূপগঞ্জ থানায় ওয়াজ শুনতে আসা এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন পুলিশের কনস্টেবল। এ ঘটনা ২৬ জানুয়ারির। চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

খুলনা রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভেতর এক নারীকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পুলিশের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে। ১৯ আগস্টের এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ পুলিশকে আটক করা হয়।

যশোরের শার্শায় পুলিশের এসআইসহ চারজনের বিরুদ্ধে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, পু‌লিশ জনগ‌ণের পু‌লিশ হওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা কর‌ছে। ২০১৯ সা‌লে পুলিশের জোর প্রচেষ্টায় পদ্মা সেতু ও ছেলেধরা গুজবসহ সব ধরনের অপপ্রচার প্রতিরোধ সম্ভব হ‌য়ে‌ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। জঙ্গিবাদকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা হ‌য়ে‌ছে। পুলিশ জনগণের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

পুলিশে নিয়োগ

এ বছরই প্রথম পুলিশ বাহিনীতে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়, যেখানে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ছিল না বললেই চলে। নিকট অতীতে এই নিয়োগে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের কথা শোনা গেছে। কয়েকটি স্থান থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলেও এ কথা বলতেই হবে যে পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

এদিকে বাহিনীর ভেতরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ছিল, তাদের বাইরে কোনো কিছুই হতো না। পুলিশের বদলি ও পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ করতেন সিন্ডিকেটের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি সিন্ডিকেটের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে চান না।

বিপদের বন্ধু ৯৯৯

জনমনে চমক দেখিয়েছে জাতীয় জরুরি সেবা হেল্প ডেস্ক ৯৯৯। অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষের কল পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়েছে এই সেবা। দুর্ঘটনায় সহায়তা, বাল্যবিবাহ রোধ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, গৃহকর্মী নির্যাতন রোধ, পারিবারিক নির্যাতন বন্ধ ইত্যাদিতে ৯৯৯ প্রশংসিত হয়েছে। ঝামেলা এড়িয়ে সহজে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা পাচ্ছে মানুষ।

 জাতীয় জরুরি সেবা হেল্প ডেস্কের প্রধান মো. তবারকউল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন ২৮-৩০ হাজার ফোন কল আসে। মানুষ এখন ৯৯৯ কে আস্থায় নিয়েছে। তারা মনে করে, বিপদে পড়লে এই সেবায় ফোন করলেই সাহায্য পাওয়া যাবে।

বিদায়ী বছরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান জিয়া রহমান বলেন, চলতি বছর সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশ কিছু ঘটনায় সোচ্চার ছিল। এই দুই মাধ্যম বিচারের দাবি আদায় করে ছেড়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। তারপরও মনে রাখতে হবে, সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না হলে সরকার যতই ভালো কাজ করুক, কোনোটাই কোনো কাজে আসবে না।

আগামী পর্ব: সংস্কৃতি