গলায় ফাঁস দেওয়া নার্সের মৃত্যু, স্বামী আটক

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গলায় ফাঁস দিয়ে আহত নার্স মৌসুমী দাস (২৭) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আজ শনিবার মারা গেছেন। এ ঘটনায় তাঁর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

মৌসুমী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ছিলেন। তিনি পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড-সংলগ্ন রহিম বখস রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে নার্স মৌসুমী ঢাকা মেডিকেলের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে কর্তব্যরত ছিলেন। একপর্যায়ে পাশের ড্রেসিংরুমে তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। সহকর্মীরা গোঙানির শব্দ শুনে সেখানে গিয়ে তাঁকে সিলিং ফ্যান থেকে নামিয়ে আনেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

সহকর্মীরা জানান, এক বছর আগে মৌসুমীর বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী সঞ্জয় দাস সমাজসেবা অধিদপ্তরের পটুয়াখালী শাখার কর্মী। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। এ সময় শাহবাগ থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর ফোনে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপরই মৌসুমী সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মৌসুমীর পরিবারের সদস্যরা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তাঁর স্বামী সঞ্জয় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তাঁরা মামলা না দিলে সঞ্জয় দাসকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

মৌসুমীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।