কর্ক খুঁজতে গিয়ে শিশুর দল পেল নিখোঁজ তরুণের লাশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নিখোঁজের ১১ দিন পর রংপুরের হারাগাছ এলাকার তরুণ সুমন মিয়ার (২১) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় একটি মসজিদের সেপটিক ট্যাংক থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা থেকে বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ১৭ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন সুমন।

নিহত ব্যক্তির পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমন ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ১০ ডিসেম্বর তিনি বাড়িতে যান। ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ভূমি অফিস মাঠে ওয়াজ মাহফিলে যান। এরপর সুমন আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তখন থেকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও সুমনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহত সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকে হারাগাছ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল বিকেলে হারাগাছ বায়তুল আমান জামে মসজিদসংলগ্ন নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ভবনের ছাদে কয়েক শিশু ব্যাডমিন্টন খেলছিল। এ সময় তাদের কর্কটি নিচে পড়ে যায়। সেই কর্ক খুঁজতে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের মুখের খোলা অংশ দিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখে তারা। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে সন্ধ্যার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত তরুণের মা শাহানা বেগমের অভিযোগ, তাঁর ছেলে সুমনকে মাহফিলে ওয়াজ শোনার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের বলেন, সুমনকে হত্যার পর সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।