নোয়াখালীতে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের পর রাতে 'বন্দুকযুদ্ধে' একজন নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম শাহদাত হোসেন ওরফে ডাকাত স্বপন (৩৯)। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ছোটধলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত শাহদাত আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতিসহ ২৩টি মামলা আছে। শাহদাত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী গ্রামের বাসিন্দা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমানের ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ মামলার পলাতক আসামি শাহদাতকে গতকাল সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান ওই অভিযান পরিচালনা করেন।

ওসি আরিফুর রহমানের ভাষ্য, গ্রেপ্তারের পর শাহদাতকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি তথ্য দেন, তাঁর দলের সদস্যদের আরও ডাকাতি করার কথা আছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল শাহদাতকে নিয়ে ছোটধলী এলাকায় যায়। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছালে শাহদাতের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর শাহদাতের সহযোগীরা পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থলে শাহদাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক মৃত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। লাশ হাসপাতালের মর্গে আছে।

বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনায় অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন ওসি আরিফুর রহমান। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি পাইপগান, ১৩টি কার্তুজ, দুটি ছোরা, দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।