মধুর ক্যানটিনের পাশে ফের ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ১

মধুর ক্যানটিন। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
মধুর ক্যানটিন। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের পাশে আজ সোমবারও দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এ নিয়ে এই এলাকায় গত দুই দিনে ৬টি ককটেল বিস্ফোরিত হলো। আজকের ঘটনায় হৃদয় নামে ক্যানটিনের এক কর্মচারী আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। ককটেল বিস্ফোরণের এসব ঘটনার জন্য তিনি কিছু ‘ভুঁইফোড়’ সংগঠনকে দায়ী করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মধুর ক্যানটিনের সামনে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্যানটিনের কর্মচারী হৃদয় আহত হন।

ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

গতকাল রোববার সকালে মধুর ক্যানটিনের সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার দিকে বিস্ফোরিত হয় আরও একটি ককটেল।

গত বৃহস্পতিবার মধুর ক্যানটিনের সামনে থেকে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার হয়। নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের মাধ্যমে সেদিন ককটেলটি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট৷

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, মধুর ক্যানটিনের পার্শ্ববর্তী কলাভবনের ছাদ থেকে ককটেলটি ছোড়া হয়ে থাকতে পারে। কারণ, আশপাশ থেকে ককটেল ছোড়া হলে কেউ না কেউ দুর্বৃত্তদের দেখতে পেতেন৷ কিন্তু এমন কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি, যিনি কাউকে ককটেল ছুড়তে বা পালিয়ে যেতে দেখেছেন।

আজ সকালে বিস্ফোরণের ঘটনার পরই মধুর ক্যানটিন এলাকায় যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুঁইফোড় কিছু সংগঠন, যাদের আদর্শ নেই কিন্তু উদ্দেশ্য আছে, তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে৷’

ভুঁইফোড় সংগঠন বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে—জানতে চাইলে এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিবদমান কিছু সংগঠন (মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ), যারা শিক্ষার ধারাকে নষ্ট করতে চায়। রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চায়। এ ধরনের অপপ্রয়াসকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’