এক মাসের বেশি সময় ধরে অচেতন হকি খেলোয়াড়

আইসিইউতে আবদুস সবুর। ছবি: সংগৃহীত
আইসিইউতে আবদুস সবুর। ছবি: সংগৃহীত

ভাইরাল এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অচেতন হকি খেলোয়াড় আবদুস সবুর। তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে গত ২১ নভেম্বর সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেওয়া হয় তাঁকে। বর্তমানে আছেন আইসিইউ–সংলগ্ন কেবিনে। এই চিকিৎসায় ইতিমধ্যে পরিবারের ব্যয় হয়ে গেছে প্রায় ১০ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) প্রাক্তন ছাত্র আবদুস সবুর বাংলাদেশ যুব দলের হয়ে খেলেছেন। এ ছাড়া আবাহনী লিমিটেড, মেরিনার্স ক্লাব, আজাদ স্পোর্টিং ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ২৭ বছরের এই যুবকের।

সবুর ভাইরাল এনকেফেলাইটিস রোগে ভুগছেন বলে জানালেন তাঁর বড় ভাই আবদুস কাইয়ুম, ‘সবুরের রোগের নাম ভাইরাল ইন এনকেফেলাইটিস। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এক মাস হয়ে গেল, এখনো চেতনা ফেরেনি তাঁর। তবে শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো কাজ করছে। এটাই আশার খবর।’

ব্যয়বহুল এই চিকিৎসায় ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে পরিবারটির। এই চিকিৎসা চালানোর জন্য সমাজের বিত্তবান মানুষ এবং ক্রীড়াসংক্রান্ত ক্লাব ও ফেডারেশনের সহায়তা চেয়েছেন তাঁর ভাই আবদুস কাইয়ুম, ‘আমাদের ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই খরচ বাড়ছে। এই ব্যয় বহন করার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই।’

চিকিৎসা চালিয়ে নিতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করেন সেন্ট্রাল হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম। তিনি বলেন, ‘এই রোগে প্রথম সাত থেকে আট দিনে জ্ঞান না ফিরলে বেশি সমস্যা হয়ে যায়। সুস্থ হতে অনেক সময় লাগতে পারে। সে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে। এটা খুবই ব্যয়বহুল চিকিৎসা।’

আবদুস সবুরের জন্য সহায়তা পাঠাতে পারেন: শরিফুর রহমান (সবুরের মামা), অ্যাকাউন্ট নম্বর: ১১৬১০১৬৩৩২৪, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক।