আমি পুরোপুরি সুস্থ না: ভিপি নুরুল

হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক। ছবি: প্রথম আলো
হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হককে ছাড়পত্র দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছাড়পত্র দেওয়ার পর নুরুল সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নুরুলকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দেয়। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটকে সাংবাদিকদের নুরুল বলেন, ‘হাসপাতালের ট্রিটমেন্ট নিয়ে আমি সন্দিহান। কারণ, আমি পুরোপুরি সুস্থ না। হাসপাতালে ভর্তির প্রথম তিন দিনের চেয়ে শরীরের অবস্থা এখন আরও খারাপ। এখনো নানা জটিলতা আছে।’

পুরোপুরি সুস্থ হতে কোনো বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন বলে জানান নুরুল।

চিকিৎসা নিয়ে ভিপি নুরুলের সন্দেহ প্রকাশের বিষয়টি ‘গুরুতর’ ও ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর (নুরুল) ক্ষেত্রে ভিন্নতার সুযোগ নেই।’

এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় আহত ছাত্রদের ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা যত দিন মনে করেছেন, তত দিন চিকিৎসা দিয়েছেন। সুস্থ হওয়ার পরেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কারণ, হাসপাতাল কারও চিরদিন থাকার জায়গা না।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের এমন হামলার পরও যদি বিচার না হয়, তাহলে অন্য দল ক্ষমতায় এলে একই ঘটনা ঘটবে।’

হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে নুরুল বলেন, ‘এটি আইওয়াশ।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলার বিষয়ে নুরুল বলেন, ডাকসুর ভিপি হিসেবে তাঁর মেয়াদ আছে আর তিন মাস। মূলত তাঁকে গ্রেপ্তার করাতেই এই মামলা করা হয়েছে।

দেশবাসীর উদ্দেশে নুরুল বলেন, নিজেদের জন্য কিংবা পরিবারের জন্য তাঁর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কোনো আন্দোলন করেন না। তাঁদের আন্দোলন দমনপীড়নের বিরুদ্ধে।

২২ ডিসেম্বর দুপুরে ভিপি নুরুলের ওপর হামলা চালান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কিছু ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।