এক বছরে ১৫ লাখ ভারতীয় ভিসা পেয়েছে বাংলাদেশিরা

বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো এক বছরে ১৫ লাখ ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়। ছবি: রাহীদ এজাজ
বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো এক বছরে ১৫ লাখ ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা হয়। ছবি: রাহীদ এজাজ

২০১৯ সালে বাংলাদেশে ১৫ লাখের বেশি ভিসা দিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন। আজ মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে এ বছরের ১৫ লাখ, ১৫ লাখ ১ এবং ১৫ লাখ ২তম ভিসা হস্তান্তর করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক ও মো. আতিয়ার রহমান প্রত্যেকেই পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রির ওই তিনটি ভিসা পেয়েছেন।

অনাড়ম্বর ওই অনুষ্ঠানে রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, ভিসা সহজ করার ফলে দুই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া অনেক বেড়েছে। প্রথমবারের মতো ১৫ লাখ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। এটি বিশ্বের যেকোনো ভিসার ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে বড় কর্মকাণ্ড। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে নয়টি নতুন ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে ১৫টি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র আছে বাংলাদেশে।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশিরা যেখানেই থাকেন, তাঁরা যেন তাঁদের জন্য কাছাকাছি আবেদন কেন্দ্র থেকে ভিসা আবেদন করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি (বহুবার প্রবেশের) ভিসা পাচ্ছেন। ঢাকায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে অনেক কাউন্টার আছে। এখানে লোকজন এসে খুব সহজে ভিসা আবেদন করতে পারছেন।

তিন মুক্তিযোদ্ধার হাতে ১৫ লাখ, ১৫ লাখ ১ এবং ১৫ লাখ ২তম ভিসা তুলে দেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। ছবি: প্রথম আলো
তিন মুক্তিযোদ্ধার হাতে ১৫ লাখ, ১৫ লাখ ১ এবং ১৫ লাখ ২তম ভিসা তুলে দেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস। ছবি: প্রথম আলো

রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে আজকাল ভিসা নিয়ে কাউকে কিছু বলতে হয় না। কারণ, এখন ভিসা খুব সহজেই ইস্যু হয়। আমরা চাইব, লোকজন আরও বেশি বেশি ভারতে যাক। আমাদের যাতায়াত বাড়ুক। আগে অনেক ধরনের বিধিনিষেধ ছিল। সেগুলোর অনেক কিছুই এখন উঠে গেছে। লোকজন সিকিম দেখতে যায়। বরফ দেখতে গেলে সিকিম সবচেয়ে কাছের। বাস সার্ভিস বাড়ছে। বাড়ছে মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস—দুটোই।’

১৫ লাখ, ১৫ লাখ ১ এবং ১৫ লাখ ২তম ভিসা পাওয়া তিন মুক্তিযোদ্ধাকে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতের হাইকমিশনার তাঁদের ভারতে বেশি বেশি সফর করার অনুরোধ জানান।

রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, ‘কূটনীতিতে মানুষে মানুষে সম্পর্ক হলো সম্পর্কের ভিত্তি। দুই দেশের লোক আমরা। কাছাকাছি দেশ, এত বড় সীমান্ত আমাদের। স্বাভাবিকভাবেই যত লোক আসবে–যাবে, সম্পর্ক ততই জোরালো হবে।’