প্রতিবন্ধী আবিরের ঈর্ষণীয় সাফল্য

আবির হোসেন
আবির হোসেন

হাঁটার শক্তি নেই। চলাফেরা করতে হয় হুইলচেয়ারে বসে। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। শারীরিক সমস্যা ও সংসারে অভাব থাকলেও পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ ছিল প্রচণ্ড। তাই তো প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে।

এই অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর নাম আবির হোসেন (১৪)। সে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকেরা আশা করছেন, সে বিদ্যালয়ের সবার চেয়ে বেশি নম্বর পাবে। আবিরের দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। মা আর বন্ধুরা চেয়ার ঠেলে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিয়েছেন, আর আবির ক্লাস করেছে। হুইলচেয়ারে বসেই আবির পরীক্ষা দিয়েছে। কষ্ট করে পড়ালেখা করেছে আবির। ভবিষ্যতেও পড়াশোনা করে ভালো ফল করতে চায় সে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সেই ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার আশঙ্কা করছে পরিবার।

আবির হোসেনের মা আছমা খাতুন জানান, তাঁর ছেলে পড়ালেখার জন্য পাগল। আবির জন্ম নেওয়ার পর ভালো ছিল। সাত বছর বয়স হওয়ার পর হঠাৎ তার শরীরের নিচের অংশ শুকিয়ে যেতে থাকে। পাশাপাশি শক্তি হারিয়ে ফেলে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারে না। এ অবস্থায় তাঁরা প্রথমে পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে ভালো না হওয়ায় হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নেন। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পরও ছেলে ভালো হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, তাকে আরও উন্নত চিকিৎসা দিলে ভালো হতে পারে। তার জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে তিন লাখ টাকা।