'লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং' পণ্যকে বর্ষ পণ্য ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন। ছবি: বাসস

দেশের ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং’ পণ্যকে ২০২০ সালের বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এ খাতে বিশেষ মনোযোগ দিতে চান তিনি।

আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইডিএফ) ২০২০ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের অধীনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হব।’ তিনি উল্লেখ করেন, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোমোবাইল, অটোপার্টস, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকসামগ্রী, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি, সোলার ফটো-ভল্টিং মডিউল, বিভিন্ন খেলনাসামগ্রীসহ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে বাংলাদেশ আরও পণ্য উৎপাদন করতে পারে। তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ আকৃষ্টে আমাদের অনেক সুযোগ আছে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে আমাদের বিশাল বাজার আছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্যসচিব জাফর উদ্দিন, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সহসভাপতি ফাতিমা ইয়াসিন বক্তব্য দেন।

এবারের বাণিজ্য মেলায় ৪৮৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়নে দেশ ও বিদেশের পণ্য বেচাকেনা হবে। এসবের মধ্যে ১১২টি প্যাভিলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৪৩টি স্টল আছে।

২৫তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ব্রুনাইসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।

এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বাণিজ্য মেলা রাত সাড়ে ৯টায় শেষ হবে। মেলায় প্রবেশমূল্য হিসেবে বড়দের জন্য জনপ্রতি ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকার টিকিট নির্ধারণ করা হয়েছে।

মেলা কর্তৃপক্ষ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানায়, গত বছরে মেলা থেকে ১০ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে ১৯৯৫ সাল থেকে খ্রিষ্টীয় নববর্ষের প্রথম দিন থেকে মাসব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।