চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনে মার্চ মাস পছন্দ সিইসির

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বুধবার, ১ জানুয়ারি। ছবি: জুয়েল শীল
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বুধবার, ১ জানুয়ারি। ছবি: জুয়েল শীল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য মার্চ মাসই উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

চট্টগ্রামে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ বুধবার দুপুরে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তখন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে কথা বলেন। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন একসঙ্গে হলেও চট্টগ্রামে প্রথম সভাটা বিলম্বে হয়েছে। সে জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বোধ হয় ১৮০ দিন গণনা করা হবে। নির্বাচনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমার ধারণা, এপ্রিল মাসে রমজান পড়বে। মার্চ মাসের মধ্যে ফাঁকা আছে কি না, এটা দেখতে হবে। আমার মনে হয়, মার্চ মাসই হবে উপযুক্ত সময়। তবে কখন হবে, এটা আমি এখন বলতে পারব না। মার্চ মাসে পরীক্ষা নেই তেমন। এটা চূড়ান্ত না। আমাকে কমিশনারদের সঙ্গে বসতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

মতবিনিময় সভা সম্পর্কে নূরুল হুদা আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়াটা কীভাবে প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা তো আমাদের জাতীয় সমস্যা। তারা বারবার এদিক-সেদিক করে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে। এটা কীভাবে বন্ধ করা যায়, সেটা নিয়ে মতবিনিময় করেছি।’

সিইসি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভোটার নিবন্ধন নিয়ে কিছুদিন ধরে আমাদের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় কিছু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে যে মামলা-মোকদ্দমা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে—এটা কেন হলো, এগুলো নিয়ে কথা বলেছি। ধৈর্যসহকারে, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘তাদের আমরা তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছি। তারা তদন্ত করে যাদের দোষী পাবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই ছোট কর্মচারী, অধিকাংশই ছিল আউটসোর্সিং স্টাফ।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, যখন একজন ভোটার নিবন্ধনের জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে যান, তখন তিনি জন্মসনদ নিয়ে আসেন। এটা দেওয়ার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধির, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের। কোথাও কোথাও এমন পাওয়া গেছে, ইউপির চেয়ারম্যানরা ভুল তথ্য দিয়েছেন। এ রকম কিছু অভিযোগ ও তথ্য আছে।