সাবেক সাংসদ ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী মারা গেছেন

সাবেক সাংসদ ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী। ছবি: ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া
সাবেক সাংসদ ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী। ছবি: ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সাংসদ ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। চারদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর।

তিনি নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

গত ২৮ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী।

ফজিলাতুন্নেসার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ওই সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।

ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পীর মরদেহ মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটিতে তাঁর মায়ের বাসায় নেওয়া হয়। তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। সেখানে তাঁর বাবার কবর রয়েছে।

ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)’র প্রসিকিউটর এবং সুপ্রিম কোর্টের সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়ার সময় থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। নবম ও দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে তিনি আওয়ামী লীগের সাংসদ ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পির কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আজ বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তিনি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার কফিনের পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে সাবেক এই সংসদ সদস্যের কফিনে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী এরপর মরহুমার পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন ও তাদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বাপ্পির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

এর আগে, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এডভোকেট বাপ্পির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রীরা, ডেপুটি স্পিকার, পার্লামেন্ট সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন।