শিশুকে মেরে ঢোকানো হলো ওয়ার্ডরোবে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের থাকার কক্ষের ওয়ার্ডরোব থেকে চার বছরের এক ছেলেশিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরাশ জামিয়াতুল মাদ্রাসা ও এতিমখানার সহকারী শিক্ষক মো. জোনায়েদ আহমেদের থাকার কক্ষের ওয়ার্ডরোব থেকে মো. আদিল নামের শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

আদিল মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক মুফতি জোবায়ের আহমেদের ছেলে। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ধলাসিয়ায়।

আটক দুজন হলেন মাদ্রাসাটির সহকারী শিক্ষক জোনায়েদ আহমেদ (৩০) ও মাদ্রাসার মসজিদের মুয়াজ্জিন খায়রুল ইসলাম (২৫)। জোনায়েদের বাড়ি হাবিগঞ্জ জেলার রাখাইন উপজেলার তেগুরিয়া গ্রামে। খাইরুলের বাড়িও একই এলাকায়।

জোবায়েরের ভাষ্য, দিন কয়েক আগে খায়রুলের মোবাইল সেট খোয়া যায়। এ ব্যাপারে তিনি জোনায়েদকে সন্দেহ করেন। খায়রুল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে জোনায়েদের বিরুদ্ধে নালিশ দেন। ঘটনার দিনই জোনায়েদকে ডেকে জেরা করেন জোবায়ের। গতকাল বিকেলে ছেলে আদিল মাদ্রাসার পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ছেলেকে কোথাও না পেয়ে মসজিদের মাইকে মাইকিং করা হয়। স্বজন ও গ্রামবাসী মাদ্রাসার পুকুরসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। এ সময় জোনায়েদ ও খায়রুলের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে এলাকাবাসী তাঁদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে আদিলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন জোনায়েদ। পরে জোনায়েদের কক্ষের ওয়ার্ডরোব থেকে আদিলের লাশ উদ্ধার করা হয়। জোনায়েদ ও খায়রুলকে থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশের তথ্যমতে, ময়নাতদন্তের জন্য শিশু আদিলের লাশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক আলামত দেখে মনে হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক বলেন, শিশু আদিল হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিক্ষক জোনায়েদ ও মুয়াজ্জিন খাইরুলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ দত্ত বলেন, লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে জোনায়েদ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের ছেলেকে গলা টিপে হত্যা করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দেন।