দুদকের মামলায় জামিন পেলেন যুবলীগ নেতা শফিকুল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দুর্নীতির মামলায় যুবলীগ নেতা বিতর্কিত ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস শফিকুল ইসলামকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, আসামি শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শফিকুলের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে তিনি আদালতে বক্তব্য দেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে শফিকুলের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২১ নভেম্বর শফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৪১ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় শফিকুলের বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শফিকুল ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত তাঁর আয়কর নথিতে মোট ৭ কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ দেখালেও সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণে দুদকের মনে হয়েছে, ওই সব সম্পদের অর্জনমূল্য অনেক বেশি। তদন্তের সময় এ বিষয়ে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মতামতসহ অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করা হবে। এসব সম্পদ অর্জনের পক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পায়নি দুদক।

আয়কর নথিতে ৭ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন শফিকুল। কিন্তু এরও অর্জনের সপক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য এবং বিভিন্ন গোপন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে শফিকুল ইসলাম অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ অর্জন করেছেন। ওই সম্পদসংক্রান্ত বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ বিধায় তদন্তের সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সঠিক তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে তাঁর অর্জিত সম্পদের পরিমাণ অনেক বাড়বে।