বগুড়ায় পুলিশের ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২৮

লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় পুলিশ সদস্য পারভেজ মিয়ার। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহীদ খোকন পার্ক, বগুড়া, ১ জানুয়ারি। ছবি: সোয়েল রানা লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় পুলিশ সদস্য পারভেজ মিয়ার। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহীদ খোকন পার্ক, বগুড়া, ১ জানুয়ারি। ছবি: সোয়েল রানা
লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় পুলিশ সদস্য পারভেজ মিয়ার। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহীদ খোকন পার্ক, বগুড়া, ১ জানুয়ারি। ছবি: সোয়েল রানা লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে যায় পুলিশ সদস্য পারভেজ মিয়ার। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহীদ খোকন পার্ক, বগুড়া, ১ জানুয়ারি। ছবি: সোয়েল রানা

বগুড়ায় পুলিশের ওপর ছাত্রদলের হামলা ও অস্ত্র ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৭৫ নেতাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। বগুড়া সদর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জিলালুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এ মামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ দিকে জুতা পায়ে শহীদ মিনার অবমাননার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি শহরের নওয়াববাড়ি সড়ক অতিক্রম করার সময় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তাঁরা কার্যালয়ের সামনে বেশ কিছু ফেস্টুন ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়ায় শোভাযাত্রার আগে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে দাঁড়ানো নেতা-কর্মীদের বারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় পুলিশ। এতে পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। হামলায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশরাফুল ইসলাম ও পুলিশ লাইনসে কর্মরত কনস্টেবল পারভেজ, সিফাত ও মামুন। পারভেজকে বগুড়া পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাজেদুর রহমানসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে। মামলায় শহীদ মিনারে জুতা পায়ে দাঁড়িয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান ও পুলিশে ওপর হামলা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে।

হামলার শিকার বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত বগুড়া সদর থানায় ২৫ এবং শাজাহানপুর থানায় ৩ জনসহ মোট ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন