বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিনে রক্ত দান করেন তিনি

আলী ইউসুফ
আলী ইউসুফ

ছেলের ১৩তম জন্মদিন উপলক্ষে গত বুধবার স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেছেন ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আলী ইউসুফ। এ নিয়ে তিনি ৪৯ বার স্বেচ্ছায় রক্ত দান করলেন। তাঁর স্ত্রী কোহিনূর আক্তারও ছয়বার স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেছেন।

ময়মনসিংহ নগরের বাসিন্দা আলী ইউসুফ পেশায় মুদ্রণ ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি একজন ছড়াকার। নিজের বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, সন্তানদের জন্মদিনসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিশেষ দিন স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে উদ্‌যাপন করেন তিনি।

আলী ইউসুফ বলেন, বাংলাদেশে দিনে দিনে স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী বাড়ছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছায় রক্তদানকেন্দ্রিক অনেক সংগঠন কাজ করছে। তারপরও এখনো মানুষ অসুস্থতার সময় রক্তের সংকটে পড়ে। এ কারণে তিনি চান, রক্তদানকে পারিবারিকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে।

আলী ইউসুফ মনে করেন, রক্তদানকে পারিবারকভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা বাড়বে। এতে মানুষ জরুরি প্রয়োজনে
রক্তের সংকটে পড়বে না। এ কারণেই তিনি নিজেদের বিশেষ পারিবারিক দিনগুলোতে স্ত্রীকে নিয়ে রক্ত দান করেন।

আলী ইউসুফ জানান, ১৯ মে তাঁর জন্মদিন। ২০১৯ সালে নিজের জন্মদিনে তিনি স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। ৭ নভেম্বর তাঁদের বিবাহবার্ষিকী। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৮ সাল থেকে তিনি ও তাঁর স্ত্রী কোহিনূর আক্তার স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। তাঁদের তিন ছেলে তুহিন, মাহিন ও রুহিনের জন্মদিনেও তিনি স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। সর্বশেষ ১ জানুয়ারি ছিল বড় ছেলে তুহিনের জন্মদিন। এ উপলক্ষে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেছেন। তাঁর স্ত্রী শারীরিক অসুস্থতার কারণে বুধবার রক্ত দান করতে পারেননি।

আলী ইউসুফ জানান, তাঁর তিন ছেলের বয়স ১৮ বছরের কম। তারা যখন ১৮ বছর পূর্ণ করবে, তখন থেকে তাদেরও স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করা হবে। তাঁদের পরিবারের সব সদস্যই ১৮ বছর হওয়ার পর থেকে রক্ত দান করে।

ময়মনসিংহের স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন ব্রহ্মপুত্র ব্লাড কল্যাণ সোসাইটির অন্যতম উপদেষ্টা আলী ইউসুফ। সংগঠনের সভাপতি মমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ১ জানুয়ারি ৪৯তমবারের মতো স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেছেন আলী ইউসুফ। তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদানের অনন্য উদাহরণ।