হাওয়াই প্রকল্পের পদে পদে অনিয়ম

তখন পর্যন্ত প্রকল্পই হয়নি। জমিও নাগালে আসেনি। অথচ প্রায় আড়াই বছর আগে ঢাকার নামীদামি তিনটি এলাকায় আড়াই শ ফ্ল্যাটের জন্য আট শতাধিক আগ্রহী ক্রেতার কাছ থেকে জামানতের টাকা বুঝে নিয়েছিল জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। সেই থেকে অনিয়মের শুরু।

এর প্রায় এক বছর পর ২০১৮ সালে মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পাস করে। তবে ফ্ল্যাটের সংখ্যা দেড় শর নিচে নেমে আসে। জমিও (প্লট) ১০টি থেকে ৬টিতে দাঁড়ায়। এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ মাত্র একটি জমির দখল বুঝে পেয়েছে। এরই মধ্যে মন্ত্রীর কোটায় জামানত ছাড়া ১০টি ফ্ল্যাটের সাময়িক বরাদ্দ পেয়েছেন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা।

প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হতে বাকি আর মাত্র ছয় মাস। ফ্ল্যাট যাঁরা কিনতে চেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে হতাশ। ৩৫০ জনের বেশি জামানতের টাকা ফেরত নিয়েছেন।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগীরা বলছেন, ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ দিকে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও এলিফ্যান্ট রোডে পরিত্যক্ত সম্পত্তি-ঘোষিত ১০টি জমিতে নির্মিতব্য ফ্ল্যাটের জন্য প্রকল্প পরিচিতি বা প্রসপেক্টাস ও আবেদনপত্র বিক্রি শুরু করে। কথা ছিল, মোট ২ একর জমিতে ২৫৩টি ফ্ল্যাট হবে। কিন্তু তখন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়নি।

প্রকল্পের কর্মকর্তারা প্রথম আলোকে বলেছেন, সাধারণত গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ নিজ অর্থায়নেই সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। পরে জমি বা ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা থেকে সেটা ওঠানো হয়। প্রসপেক্টাস তৈরি কিংবা জমি-ফ্ল্যাট বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার আগেই প্রকল্প প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন করিয়ে নিতে হয়।

প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল মূলত সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য। প্রকল্পের কাগজপত্র ঘেঁটে এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, ঢাকায় পরিত্যক্ত সম্পত্তি-ঘোষিত জমিগুলো দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করাও এর উদ্দেশ্য ছিল।

ডিপিপি অনুমোদনের আগেই কর্তৃপক্ষ মোট ৮৩৪ জন আগ্রহী ক্রেতার কাছে প্রসপেক্টাস ও আবেদনপত্র বিক্রি করে এবং জামানতের টাকা জমা নেয়। দেড় হাজার বর্গফুট, দুই হাজার বর্গফুট ও আড়াই হাজার বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট দেখানো হয়েছিল।

>

প্রথম দফায় মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়নি
১০টি প্লটের মধ্যে ৪টির অধিগ্রহণে আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল
বাকি ৬টির মালিকানা নিয়ে মামলা
জমি অধিগ্রহণের জন্য ডিসির কার্যালয়ে ৮১ কোটি টাকা জমা

ধানমন্ডি ও এলিফ্যান্ট রোডে প্রতি বর্গফুটের দাম ধরা হয় ৯ হাজার ৫০০ টাকা, জামানত ফ্ল্যাটপ্রতি ৬ লাখ টাকা। মোহাম্মদপুরে দর ছিল ৫ হাজার ২০০ টাকা বর্গফুট, জামানত আয়তনভেদে ৪ লাখ আর ৩ লাখ টাকা করে। প্রসপেক্টাস বিক্রি করা হয় ১ হাজার ৩০০টি, ৩ হাজার টাকা দরে। সব মিলিয়ে তখনই সংস্থাটির কাছে জমা পড়ে ৩৫ কোটি টাকার বেশি।

অথচ এ সময় প্রস্তাবিত ১০টির মধ্যে ৪টি জমির অধিগ্রহণে আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। বাকি ৬টি জমির মালিকানা নিয়েও মামলা চলছিল। এসব সত্ত্বেও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের জন্য গ্রাহকের জামানতের টাকাসহ মোট ৮১ কোটি টাকা জমা দেয় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে।

অনিশ্চয়তা আর ভোগান্তি
অবশেষে গত বছরের ১৭ জুন মন্ত্রণালয় তিনটি এলাকায় ৬টি জমিতে ১৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণের অনুমোদন দিয়ে ডিপিপি পাস করে। এখন পর্যন্ত মাত্র একটি জমি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দখলে এসেছে। সেটা মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউয়ে। এলিফ্যান্ট রোডে জমি ছিল সাকল্যে একটি। সেটা সরকার এরই মধ্যে একটি শহীদ পরিবারকে বরাদ্দ দিয়েছে। ফলে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১২টি কমে গেছে।

বাদবাকি চারটি জমি এখনো কর্তৃপক্ষের হাতে আসেনি। ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে ২০ কাঠার একটি জমিতে রয়েছে একজন বিচারপতির বাসভবন। একই রাস্তায় একই আয়তনের আরেকটি জমির মামলা এখনো নিষ্পত্তিই হয়নি। মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোড ও হুমায়ুন রোডের দুটি জমিতে বাস করছে চারটি মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার।
হুমায়ুন রোডের জমিটি সাড়ে সাত কাঠার। গত ২ ডিসেম্বর সেখানে গেলে দেখা যায়, এর উত্তর অংশে বসবাস করছেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক এ বি এম নুরুল আলমের পরিবার। সরকার ১৯৯১ সালে এই অংশটি শহীদের স্ত্রী দিলরাস বানুর নামে বরাদ্দ দিয়েছিল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ তাঁকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছে। বলেছে, এর বদলে তিনি একটি ফ্ল্যাট পাবেন।

কিন্তু দিলরাসের কথা, কবে বাড়ি উঠবে, কবে ফ্ল্যাট পাবেন, মাঝের সময়টাতে কোথায় থাকবেন? এর কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। তা ছাড়া এখনকার বাসাটি করতে গিয়ে গ্রামের জমি বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই জায়গাটুকু ছাড়া তো আমাদের আর কিছুই নেই।’

এ জমির অন্য পাশে বসবাস করছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল হক। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, জমি ছাড়ার জন্য গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নোটিশ পেয়েছেন, তবে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চান না।

ইকবাল রোডের জমিটিতেও দুটি পরিবার বসবাস করছে। পশ্চিম অংশের বাসিন্দা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. বাহাজ উদ্দীনের মেয়ে বিলকিস আক্তার বলেন, সরকার ১৯৯৩ সালের ১১ নভেম্বর এই জায়গাটি তাঁর বাবার নামে বরাদ্দ দিয়েছে। সেই থেকে তাঁরা এখানে থাকছেন। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে তাঁর বাবা এই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পান। নানা সরকারি দপ্তরে ছোটাছুটি করেও তিনি বিষয়টির কোনো সুরাহা করতে পারেননি। গত বছর তিনি মারা যান।

বাহাজ উদ্দীনের স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, ‘নোটিশ পাওয়ার পর আমরা তৎকালীন গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের কোনো কথা শুনতে চাননি।’ এ জমিরই পূর্ব পাশে বসবাস করছে শহীদ আজিজুল্লা পাটোয়ারির পরিবার। শহীদের নাতবউ খুশি বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, তাঁরা এত দিন এ জমির মালিকানা নিয়ে নিজ খরচে মামলা চালিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘এখন যদি আমাদের জায়গা ছাড়তে বলা হয়, তাহলে কোথায় যাব?’

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন খোদ গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাঁরা বলছেন, এই অনিশ্চয়তার কারণেই এর মধ্যে ৩৬৮ জন গ্রাহক জামানতের টাকা ফেরত নিয়েছেন। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণের জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা ডিসি অফিসে জমা দেওয়া আছে। তাতে সংস্থার অন্য প্রকল্পের কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বর্তমান বাসিন্দাদের অনিশ্চয়তার উল্টো পিঠে আছে আগ্রহী ক্রেতাদের ভোগান্তি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক তাকিয়ান ফখরুল ২০১৭ সালে ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করেন, ৬ লাখ টাকা জামানতও দেন। তিনি এখন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে।
তাকিয়ানের মা তাসমিনা ফখরুল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিন হয়ে গেল। তারা (গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ) তো এখনো ঠিকঠাক কিছু বলতে পারছে না। আমরা এখন টাকা ফেরত নেওয়ার চিন্তা করছি।’ ঢাকা কলেজের অধ্যাপক মাছুদা বেগম অবশ্য এখনো আশা ছাড়ছেন না। তাঁর কথা, ‘সরকারি কাজে দেরি হবে, এটা ধরেই নিয়েছি।’

অনিয়মের সাময়িক বরাদ্দ
এলিফ্যান্ট রোডের জমিটি সরকার শহীদ পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়ার পর এখন জমির সংখ্যা ৫ আর ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১২৪। এর মধ্যে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কোটায় আছে ৫৪টি ফ্ল্যাট। বেসরকারি আবেদনকারীদের জন্য আছে ৩৬টি। আর ১০টি ফ্ল্যাট আছে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর সংরক্ষিত কোটায়। বাকি ২৪টি ফ্ল্যাট গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সরকারি আবাসন পরিদপ্তরকে উপহার দেবে।

ইতিমধ্যে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ৪৪ জনকে সাময়িক বরাদ্দপত্র দিয়েছে, ফ্ল্যাট নম্বর পড়লে যা চূড়ান্ত হবে। এর মধ্যে মন্ত্রীর কোটায় সাময়িক বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০ ব্যক্তির মধ্যে ৯ জনই আগে আবেদন করেননি, জামানতের টাকাও জমা দেননি। তবে এই কোটাতেও ফ্ল্যাট পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আবেদন করার কথা আছে। সেইমতো আগেই ২০ ব্যক্তি আবেদন করে জামানত দিয়ে রেখেছিলেন, কিন্তু খারিজ হয়ে গেছে।

মন্ত্রী কোটায় বরাদ্দপ্রাপ্তদের প্রায় সবাই পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তাঁরা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সদ্য সাবেক সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিব ফয়েজ আহম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পিএসসির সদস্য এস এম গোলাম ফারুক (স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব), জ্বালানিসচিব মো. আনিছুর রহমান (ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব), পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. সাঈদুল হক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সী শাহাবুদ্দীন আহমেদ (বর্তমানে মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব), স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক সচিব) ও মো. নজরুল ইসলাম খন্দকার। শেষের জনের পরিচয় জানা যায়নি, তবে তালিকায় একমাত্র তাঁরই আবেদনপত্রের ক্রমিক নম্বর উল্লেখ আছে।

বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার অনেক আগেই বিষয়টা নির্ধারিত হয়ে গেছে।’

এ প্রতিবেদক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ঠিক কী বিবেচনায় তিনি ফ্ল্যাট বরাদ্দ পেয়েছেন? তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো বরাদ্দপত্র পাননি, জামানতের কোনো টাকাও কেউ চায়নি। তিনি সুনির্দিষ্ট করে এটার জন্য আবেদন জমা দেননি। তবে অনেক আগে ঢাকার যেকোনো একটি প্রকল্পে ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিলেন।

হেলালুদ্দীন আরও বলেন, ‘যে প্লটগুলোতে প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার কথা, তার বেশির ভাগ তো এখন পর্যন্ত দখলেই আসেনি। এ অবস্থায় এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না।’

সাময়িক বরাদ্দ পাওয়া বাকি ৩৪ জন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তাঁরা বিধিমতো আগেই আবেদন করেছিলেন। জামানতও দিয়েছিলেন। প্রকল্পের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁরা জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বরাদ্দ পেয়েছেন। বেসরকারি কোটায় ৪০০-এর মতো ব্যক্তি আবেদন করেছিলেন, জামানতও জমা দিয়েছেন। লটারি করে তাঁদের বরাদ্দ চূড়ান্ত হওয়ার কথা আছে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা অবশ্য বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এ প্রতিবেদক গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার জন্য সময় নিতে কয়েকবার তাঁকে ফোন করেন। তিনি ফোন ধরেননি। সংস্থার সচিব ও মিডিয়া শাখার প্রধান মোহাম্মদ উল্লাহর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনিও সময় নিয়ে দিতে পারেননি।

অবশেষে এ প্রতিবেদক গত ৯ ডিসেম্বর সেগুনবাগিচায় সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সচিব বলেন, ‘স্যার এখন লাঞ্চে আছেন। লাঞ্চ সেরে মন্ত্রণালয়ে যাবেন। এখন দেখা করা সম্ভব নয়।’ সচিবের উপস্থিতিতে এই প্রতিবেদক চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে কল করেন এবং খুদে বার্তা পাঠান। তিনি কোনো উত্তর দেননি।

সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনের বিষয় উল্লেখ করে মুঠোফোনে খুদে বার্তাও পাঠানো হয়। এরপর ফোন করলে তিনি কেটে দেন।