সুসংগঠিত দল সরকার পরিচালনার জন্য সহায়ক: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, একটি সরকার সফলভাবে পরিচালনার জন্য দলকে সুসংগঠিত রাখা জরুরি।

আজ শুক্রবার ২১ তম জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভার প্রারম্ভিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এসব কথা বলেন। সকালে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে এই সভা শুরু হয়। সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি সরকার সফলভাবে কাজ করতে পারবে তখনই, যখন তার পেছনে দল সুসংগঠিত থাকে। কারণ, দল সুসংগঠিত থাকলে তা একটা সরকারের জন্য বিরাট শক্তি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দলের শক্তিটাই সব থেকে বেশি কাজে লাগে একটা দেশকে উন্নত করতে। যেটা আমি নিজে উপলব্ধি করি। এবং যে কারণে আমি সংগঠনের ওপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব¡দিই।’

শেখ হাসিনা এ সময় আওয়ামী লীগ ও তার সব সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন শেষ করে একে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। কারণ, এটা হচ্ছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। ১৯২০ সালে তাঁর জন্ম। মনে হয়, তাঁর জন্মটাই হয়েছিল বাঙালিকে জাতি হিসেবে একটা আত্মপরিচয় এনে দেওয়ার জন্য। এবং একটি জাতি রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। কেননা তাঁদের আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে আমরা এই সুযোগটা পেতাম না। জানি না কী হতো, ইতিহাস বিকৃত করে তাঁর (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) নামটাই তো মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের জনগণ আমাদের ২০০৮ সালে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমরা সরকারে আসতে পেরেছি বলেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্‌যাপন করার সুযোগ পেয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের সৌভাগ্য হলো—১৯৯৭ সালে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনকালেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২৩ বছরের সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে লাখো প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না। সেটা প্রমাণ করাই আমাদের লক্ষ্য। সেটা যে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, সেটা আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারব। কিন্তু সেটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’