চাপ দিয়ে লাভ নেই, মাঠ ছাড়ব না: ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ফাইল ছবি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ফাইল ছবি

বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যেতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইশরাক হোসেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করে লাভ নেই। আমরা কোনোভাবেই ভোটের মাঠ ছেড়ে যাব না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়ে যাব। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকব।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী তাজউদ্দিন আহমেদকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার করে বংশাল থানা-পুলিশ। এই বিষয়টির সঙ্গে আরেকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ইশরাক রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাবি জানিয়েছেন, এখন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যাঁরা কাউন্সিলর প্রার্থী, তাঁদের যেন গ্রেপ্তার করা না হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁকে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ব্যবস্থা নেওয়ার আগ পর্যন্ত আশ্বস্ত হতে পারছেন না তিনি।

ডিএসসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির মেয়র প্রার্থী দুজন কাউন্সিলরের বিষয়ে তাঁর কথা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ দিলে তাঁরা অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাতেন বলেন, সুনির্দিষ্ট মামলায় কারও বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হয়রানির উদ্দেশ্যে কোনো প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দিলে তা হবে অনাকাঙ্ক্ষিত। এমনটা করতে দেওয়া হবে না।

অতি উৎসাহী হয়ে কেউ প্রার্থীদের প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই নির্বাচন কর্মকর্তা।

কাউন্সিলর প্রার্থী তাজউদ্দিনের সন্তান বলেছেন, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার থেকে বের হওয়ার পর তাঁর বাবাকে মাহুতটুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূর আলম গ্রেপ্তার করেন। ছয়টি মামলায় জামিন পেয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর কারাগার থেকে বের হন বংশাল থানা বিএনপির সভাপতি তাজউদ্দিন। অন্য মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে তাঁকে তখন জেলগেট থেকেই আবার গ্রেপ্তার করা হতো। গতকাল নূর আলম নামের যে পুলিশ কর্মকর্তা তাজউদ্দিনকে আটক করেছেন, তাঁর সঙ্গে ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ মান্নানের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। এর আগেও তাজউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন নূর আলম।

নাশকতা ও প্রতারণার দুটি মামলায় তাজউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির প্রথম আলোকে বলেন, সব মামলায় জামিনের কাগজপত্র তাঁর পরিবার দেখাতে পারেনি। এ ছাড়া আদালত থেকে জামিনের কাগজপত্র এখনো থানায় আসেনি।