রাজনীতিতে একটা অলঙ্ঘনীয় দেয়াল উঁচু হয়ে দাঁড়িয়েছে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে বিরোধী দলকেও শক্তিশালী হতে হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলও গণতন্ত্রের বিকাশে অপরিহার্য শক্তি। বিরোধী দলকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া শক্তিশালী গণতন্ত্র কল্পনাও করা যায় না। এটা বিশ্বাস করতে হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সরকারি দল–সমর্থিত ১৪–দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্য সম্পর্কের অবনতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিভিন্ন সময়ে আঘাত আসার পরও রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বারবার উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির অসহযোগিতার কারণে সেই সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে আজকে একটা অলঙ্ঘনীয় দেয়াল উঁচু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দেয়াল গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দেয়ালের সৃষ্টি হয়েছে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। সেই দেয়াল উঁচু হতে হতে আরও উঁচু হয়েছে। ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

এত কিছুর পরও শেখ হাসিনা বারবার এগিয়ে গিয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার সন্তানের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা তাঁর বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন সন্তানহারা মাকে সান্ত্বনা দিতে। ঘরের দরজা, বাইরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালের আগে গণভবনে বেগম জিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরও গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বিএনপিসহ তাদের অনেককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সংলাপের ডাক দিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালে সরকার গঠনে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে সহযোগিতা করার জন্য জেপি ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪–দলীয় জোটের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।

জেপির ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে আগামী তিন বছরের জন্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু চেয়ারম্যান ও শেখ শহীদুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।