প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিয়ানীবাজার ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭

সিলেটের বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপনকালে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের সাত নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিয়ানীবাজারের প্রমথনাথ দাস রোডে উপজেলা ছাত্রলীগের কে এইচ সুমন ও সাইদুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলাকালে উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতার অনুসারীরা। সকাল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছয়টি আলাদা শোভাযাত্রা বের করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার প্রমথদাস রোড এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা কে এইচ সুমন ও সাইদুল ইসলামের অনুসারীরা মুখোমুখি হন। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া কলেজ রোড এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের সাত নেতা-কর্মী আহত হন।

এই সাতজন হলেন জুনেদ আহমদ, ফখরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ফখরুল ইসলাম, মুরাদ আহমদ, আশরাফুল হক ও সালাহ উদ্দিন। আহত ব্যক্তিরা কোন দলের সমর্থক, তা জানা যায়নি। আহতদের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, সংঘর্ষের পর দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপজেলা এলাকায় মহড়া দিয়েছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুটি পক্ষই আলাদা স্থানে অবস্থান করছেন। যেকোনো সময় দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

ছাত্রলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অপর একটি পক্ষ হামলা চালিয়েছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন অনুসারী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফখরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’

সংঘর্ষের ঘটনার বক্তব্য জানতে ছাত্রলীগ নেতা কে এইচ সুমনের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ কারা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে কয়েকজন সামান্য আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। উপজেলায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।