অপহরণের পর অশ্লীল ভিডিওচিত্র ধারণ, গ্রেপ্তার ২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

অপহরণ হওয়ার এক দিনের মাথায় আবদুল মজিদ (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাব বলছে, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি অপহরণের পর অশ্লীল ভিডিওচিত্র ধারণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।

গ্রেপ্তার দুই অপহরণকারী হলেন সৈয়দ রাসেল (২৬) ও তারেক হোসেন (৩৪)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি ভুয়া গণমাধ্যমের পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।

র‍্যাব সূত্র জানায়, উদ্ধার করা মজিদ একটি ওষুধ কোম্পানির কর্মচারী। মুঠোফোনের মাধ্যমে এক নারীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার ওই নারী তাঁকে দাওয়াত দিয়ে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় একটি বাসায় ডেকে নিয়ে যান। মজিদ ওই বাসায় ঢোকার পর সেখানে উপস্থিত থাকা পাঁচজন জোর করে মজিদের পরনের কাপড় খুলে ফেলেন। এ সময় তাঁরা মজিদকে মারধর করে তাঁর সঙ্গে ওই নারীর আপত্তিকর ভিডিওচিত্র ধারণ করে তাঁকে আটকে রাখেন। পরে অপহরণকারীরা মজিদের মুঠোফোন দিয়ে তাঁর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না দিলে ধারণা করা অশ্লীল ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। এরপর মজিদের পরিবার র‍্যাব-৩–এর স্থানীয় ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করে।

অভিযান পরিচালনকারী র‍্যাব-৩–এর সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম আজ শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, মজিদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব তদন্তে নামে। দুই অপহরণকারীর অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া থেকে মজিদকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় নারীসহ চার অপহরণকারী পালিয়ে যান। চক্রটি বিভিন্ন ব্যক্তিকে কৌশলে অপহরণ করে ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিওচিত্র ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছিল। গ্রেপ্তার দুই অপহরণকারীর বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় প্রতারণা ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছে র‍্যাব। আজ শনিবার হাতিরঝিল থানায় তাঁদের সোপর্দ করা হয়েছে।