সাইকেলে কষ্ট লাঘরের আশা

হাতে সাইকেল, চোখে স্বপ্ন। এখন আর কষ্ট করতে হবে না। গতকাল বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আবদুল গণি কলেজে।  ছবি: প্রথম আলো
হাতে সাইকেল, চোখে স্বপ্ন। এখন আর কষ্ট করতে হবে না। গতকাল বিকেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আবদুল গণি কলেজে। ছবি: প্রথম আলো

কারও বাড়ি কলেজ থেকে অনেক দূরে। যাতায়াতে কষ্ট। মাঝেমধ্যেই হা–হুতাশ করতেন ওই ছাত্রীরা। আহা, একটা সাইকেল থাকলে কতই না ভালো হতো! যাতায়াতের কষ্ট ঘুচত। সাইকেল চালানোর আশাও পূরণ হতো। এবার তাঁদের কষ্ট লাঘব হয়েছে; পূরণ হয়েছে আশাও।

গতকাল শনিবার লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ৫০ জন ছাত্রীকে বাইসাইকেল দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। নারী শিক্ষা এগিয়ে নিতে ব্যাংকটির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) অংশ হিসেবে এসব সাইকেল বিতরণ করা হয়।

বিকেলে উপজেলা শহরের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আবদুল গণি কলেজের মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে এই কলেজর পাশাপাশি আমানুতুল্ল্যাহ প্রধান উচ্চবিদ্যালয়ের গরিব ও মেধাবী ৫০ জন ছাত্রীর হাতে সাইকেলের চাবি তুলে দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল দেওয়া হয়।

বাইসাইকেল পেয়ে আনন্দিত কলেজছাত্রী ছাত্রী উম্মে হাবিবা। তিনি বলেন, কলেজ থেকে তাঁর বাড়ি ১৬ কিলোমিটার দূরে। এ কারণে অনেক দিনই সময়মতো ক্লাসে আসতে পারেন না। মনে আশা ছিল, সাইকেল কিনবেন। তা আর কেনা লাগল না। সে আশা পূরণ করে দিল সোনালী ব্যাংক। এখন থেকে ঠিক সময়ে ক্লাসে আসতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান।