মা-বাবার সামনেই সড়কে প্রাণ গেল শিশু সারিকার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গত সপ্তাহেই প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার আনন্দে মেতেছিল সারিকা খাতুন (১১)। কিন্তু নতুন শ্রেণিতে ওঠার স্বাদ ভালোভাবে নেওয়ার আগেই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল তার। বাবার অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার সময় বাসের ধাক্কায় পরিবারের সদস্যদের চোখের সামনেই মারা গেছে সারিকা।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায়। আজ রোববার দুপুরে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের কটিয়াদীর আচমিতা ইউনিয়নের বানিয়াড়গ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিল সারিকা। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন সারিকার বাবা ওয়াসিম মিয়া, মা রুমা বেগম ও দুই বছর বয়সী ভাই মো. সাদ। তাঁরা বর্তমানে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, সারিকার বাবা ওয়াসিম পেশায় অটোরিকশাচালক। নিজের এবং স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আজ সকালে অটোরিকশায় করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ সদরে যান ওয়াসিম। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বানিয়াড়গ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্যামল ছায়া পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সারিকা রাস্তায় পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

কটিয়াদী হাইওয়ে ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক আটকে রাখলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।