ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করল বিড়ালটিকে

নাজমা আহমেদের কোলে তাঁর পোষা বিড়ালটি তুলে দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, ৫ জানুয়ারি। ছবি: এহসান উদ দৌলা
নাজমা আহমেদের কোলে তাঁর পোষা বিড়ালটি তুলে দেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, ৫ জানুয়ারি। ছবি: এহসান উদ দৌলা

যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তিনতলার একটি এয়ার কন্ডিশন মেশিনের বাইরে আটকা পড়ে একটি পোষা বিড়াল। এমন অবস্থায় বিড়ালটি সেখানে ছিল ২২ ঘণ্টা। অবশেষে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আজ রোববার সকালে বিড়ালটিকে উদ্ধার করে।

পোষা বিড়ালটি হাতে পেয়ে ভীষণ খুশি নাজমা আহমেদ। পরম মমতায় বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করেন। বিড়ালটিকে তিনি ‘মা’ বলে ডাকেন।

নাজমা আহমেদ ও জাকির হোসেন দম্পতি যশোর শহরের পূর্ব বারান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁরা যেখানেই যান, বিড়ালটি তাঁদের সঙ্গে যায়। গতকাল শনিবার সকালে তাঁরা যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যান সেখানে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে দেখতে। এ সময় বিড়ালটি তাঁদের সঙ্গে ছিল। হাসপাতালের তৃতীয় তলায় সেই আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় বেলা ১১টার দিকে বিড়ালটি লাফ দিয়ে নিচে নেমে যায়। তাঁরা তখন বিষয়টি টের পাননি। বাড়ি ফিরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁরা বিড়ালের কোনো সন্ধান পাননি।

আটকে পড়ার ২২ ঘণ্টা পর বিড়ালটিকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, ৫ জানুয়ারি। ছবি: এহসান উদ দৌলা
আটকে পড়ার ২২ ঘণ্টা পর বিড়ালটিকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, ৫ জানুয়ারি। ছবি: এহসান উদ দৌলা

আজ সকালে এই দম্পতি পুনরায় বিড়ালটি খুঁজতে বের হন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জাকির হোসেন দেখতে পান, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিপরীত বিল্ডিংয়ের তিনতলায় একটি এয়ার কন্ডিশন মেশিনের বাইরে বিড়ালটি আটকে আছে। এরপর তিনি যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। সব শুনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হাসপাতালে যান। এরপর মই লাগিয়ে আজ সকাল নয়টার দিকে সেখান থেকে তাঁরা বিড়ালটিকে নামিয়ে আনেন।

জাকির হোসেন বলেন, দুই বছর আগে বাসা থেকে শহরের হাইকোর্ট মোড়ে যাওয়ার পথে নাজমা আহমেদ নর্দমার মধ্যে একটি বিড়ালছানা পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে তিনি বিড়ালছানাটিকে তুলে বাসায় নেন। তারপর থেকে বিড়ালছানাটি তাঁদের সঙ্গেই থাকে। সে পরিবারেরই একজন হয়ে গেছে। বিড়ালটি সন্তানের মতো।

যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা বিড়ালটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার মালিকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’