মাছের বাজারে 'পঙ্খিরাজ'

সামুদ্রিক এই মাছের পিঠে থাকা পাখনার কারণেই ব্যবসায়ীরা এর নাম দিয়েছে ‘পঙ্খিরাজ’। ছবি: প্রথম আলো
সামুদ্রিক এই মাছের পিঠে থাকা পাখনার কারণেই ব্যবসায়ীরা এর নাম দিয়েছে ‘পঙ্খিরাজ’। ছবি: প্রথম আলো

সিলেট নগরের বন্দরবাজারের মাছের বাজার লালবাজারে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে সামুদ্রিক ‘সেইল ফিশ’। তবে লালবাজারের ব্যবসায়ীরা মাছটির নাম দিয়েছেন ‘পঙ্খিরাজ’। মূলত মাছের পিঠে থাকা পাখনার কারণেই ব্যবসায়ীরা এ নাম দিয়েছেন। প্রায় ৩৫ কেজি ওজনের মাছটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৫ হাজার টাকা।

আজ রোববার সকাল থেকে লালবাজারে বিক্রির জন্য মাছটি তোলা হয়।

বিকেলে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সামুদ্রিক মাছটি একনজর দেখতে অনেক ক্রেতা ও দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছেন। কেউ মাছের শরীরে হাত দিয়ে দেখছেন আবার কেউ মাছটির পাখনায় হাত বুলাচ্ছেন। মাছের লম্বা ঠোঁটও ও অনেকে ধরে দেখছেন।

মাছ দেখতে আসা ফাহিম আহমদ বলেন, ‘মাছের নাম “পঙ্খিরাজ” শুনে আগ্রহ নিয়ে দেখতে এসেছি। অনেক সুন্দর মাছ। তবে ইন্টারনেটে ঘেঁটে “পঙ্খিরাজ” নামের কোনো মাছ পাইনি।’

মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে, কক্সবাজারে জেলেদের জালে ধরা পড়া মাছটি লালবাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ এটি বাজারে তোলা হয়।

লালবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলজার আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাছের বিশাল পাখনা থাকায় আমরা “পঙ্খিরাজ” নাম দিয়েছি। সামুদ্রিক এ মাছের অন্য নামও থাকতে পারে। চট্টগ্রামের মাছ ব্যবসায়ী খোরশেদ মিয়ার মাধ্যমে মাছটি আমাদের কাছে এসেছে। এর আগেও ২০১৭ সালে  ১৮ থেকে ২০ কেজি ওজনের এই মাছ বাজারে আনা হয়েছিল। সে সময় মাছটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে মাছটি দেখতে অনেকেই ভিড় করেছেন। আমরা মাছটির দাম চেয়েছি ৩৫ হাজার টাকা। তবে এক ক্রেতা ২৫ হাজার পর্যন্ত দাম হাঁকিয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া না গেলে কেটে কেজি হিসাবে বিক্রি করা হবে।’