আমাকে ২৪ দিন দেন, আমি ৫ বছর দেব: তাপস

ফজলে নূর তাপস।
ফজলে নূর তাপস।

১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ২৪ দিন। আমাকে এই ২৪ দিন দেন, আমি আপনাদের পাঁচ বছর দেব।’

গতকাল রোববার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সভায় এ আহ্বান জানান শেখ ফজলে নূর। তিনি বলেন, তিন মেয়াদে ঢাকা-১০ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে অনেক উন্নয়ন করেছেন। মেয়র নির্বাচিত হয়ে উন্নত ও বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তুলতে চান।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় শেখ ফজলে নূর বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে রাজধানী ঢাকাকে উন্নত এবং যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। অনেক সময় চলে গেছে। ঢাকাকে উন্নত করার জন্যই আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আপনারা যদি আমার সঙ্গে থাকেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন রাজধানীর স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারব।’

ঢাকার দক্ষিণে মেয়র পদপ্রার্থী বলেন, ‘মেয়র নির্বাচিত হলে ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক সুবিধাগুলো জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব। আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করব এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রতিটি সংস্থার সঙ্গে কথা বলব। ঢাকা দক্ষিণের প্রত্যেক নেতা–কর্মীর জন্য নগর ভবন খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হবে দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি ওয়ার্ডে ছেলেমেয়েদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকবে। বর্জ্য রাস্তায় পড়ে থাকবে না, সুন্দর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা থাকবে।’

সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে শেখ ফজলে নূর তাপসের বিকল্প নেই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁর জন্য ভোট চাইতে হবে। প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড ও পাড়া–মহল্লায় তাঁর পক্ষে কাজ করতে হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।