পুলিশকে জনতারই হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার সকালে তাঁর কার্যালয়ে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার সকালে তাঁর কার্যালয়ে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ‘আসলে পুলিশকে জনতারই হতে হবে, জনগণ যেন আস্থা পায়, বিশ্বাস পায় এবং পুলিশের কাছে দাঁড়াতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আগে মানুষের যে একটা অনীহা ছিল, সেটা কিন্তু আর নেই। বরং পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে এটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কাজেই আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।’ তিনি নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার সকালে তাঁর কার্যালয়ে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণে এসব কথা বলেন।

দেশের মানুষের নিরাপত্তা প্রদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার মুজিব বর্ষে পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু হওয়ায় মানুষের মাঝে একটা আত্মবিশ্বাস এসেছে। কোথাও কেউ কোনো অন্যায় দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করছে এবং পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি যত শক্তিশালী ও মজবুত হবে, তত বেশি আমরা আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে আরও উন্নত করতে পারব। আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা আমাদের ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে, যাতে উন্নয়নশীল দেশের স্থায়ী স্বীকৃতি অর্জন করতে পারি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। ছবি: বাসস

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, খুলনার পুলিশ কমিশনার খন্দোকার লুৎফুল কবির এবং ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি হারুনুর রশিদ পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনকালকে মুজিব বর্ষ হিসেবে তাঁর সরকারের ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে ক্ষুধামুক্ত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনো বাংলাদেশে যারা দরিদ্র বা গৃহহীন, কর্মক্ষমতাহীন তাদের প্রত্যেকের জীবনমানটা যাতে উন্নত হয়, তারা কেউ যেন ক্ষুধার কষ্টে না ভোগে, রোগে-শোকে কষ্ট না পায়। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্য দিয়েই মানুষকে একটা সুন্দর জীবন উপহার দেওয়াই সরকারের লক্ষ্য।