টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, মাদকবিরোধী স্কেটিং শোভাযাত্রা শুরু

টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটার চলবে মাদক বিরোধী স্কেটিং। সোমবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে এ স্কেটিংয়ের শুরু হয়। টেকনাফ, ৬ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটার চলবে মাদক বিরোধী স্কেটিং। সোমবার দুপুরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে এ স্কেটিংয়ের শুরু হয়। টেকনাফ, ৬ ডিসেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

‘মাদককে রুখব, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ব’ এ স্লোগানে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া পর্যন্ত স্কেটিং শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। ১৮ দিনের যাত্রায় তাঁরা তেঁতুলিয়া পৌঁছাবেন।

সোমবার বেলা একটার দিকে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ থেকে এ শোভাযাত্রাটি উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, স্কেটিং দলনেতা আরাফাত আলম প্রমুখ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ঢাকা বিডি স্কেটিং ক্লাবের আয়োজনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ শোভাযাত্রায় ২০জন স্কিটার অংশ নেন।

এ প্রসঙ্গে স্কেটিং দলের দলনেতা আরাফাত আলম বলেন, ‘টেকনাফ মাদকের রুট হিসেবে পরিচিত, তাই এখান থেকে এ যাত্রা শুরু করা হয়েছে। তবে শীত বেশি হওয়ায় একটু কষ্ট হবে। এ যাত্রাটি কক্সবাজার, চকরিয়া, লোহাগাড়া, কেরানীহাট, চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড, ফেনী, কুমিল্লা, দাউদকান্দি, ঢাকা, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, দশ মাইল, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় হয়ে ২৩ জানুয়ারি তেঁতুলিয়া উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।’

আরাফাত আলম বলেন, টেকনাফ-তেঁতুলিয়ার পথে স্কিটার দল প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি স্কুল এবং লোকসমাগমস্থলে মাদক বিরোধী প্রচার ও লিফলেট-স্টিকার বিতরণ করবে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, ‘মাদক তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে মাদককে এ দেশ থেকে বিদায় দিতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। দেশ ও সমাজকে রক্ষা করতে হলে মাদক নির্মূলের বিকল্প নেই। আসুন, সবাই মিলে মাদক রুখি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, টেকনাফের যে বদনাম রয়েছে সেটি মুছে ফেলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। পাশাপাশি উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাদকের কুফল সম্পর্কে প্রচার চালানো হচ্ছে। পুরো উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।