১১ নেতার অবৈধ অর্থবিত্তের তথ্য পেয়েছে পুলিশ-র‍্যাব

>ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি থেকে কোটি টাকা পেতেন সম্রাট। ভাগ যেত অন্য নেতাদের কাছেও।

ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি থেকে কোটি টাকা পেতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট। এর ভাগ যেত আওয়ামী ও যুবলীগের একাধিক নেতার পকেটে। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্যও পেয়েছে পুলিশ ও র‌্যাব।

শুধু সম্রাট নন, শুদ্ধি অভিযানে ধরা পড়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ–যুবলীগের নেতাসহ ১১ জন অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করে অবৈধভাবে বিশাল অঙ্কের টাকা ও সম্পদের মালিক হওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ–র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে শুরু হয়ে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শুদ্ধি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, শুদ্ধি অভিযানে ধরা পড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা জানা গেছে।

আদালত সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে র‌্যাব ৯ জনের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। 

র‌্যাব ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর সম্রাটকে দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানিয়েছেন, মতিঝিলের ছয়টি ক্লাব থেকে তিনি প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ টাকা করে ৬০ লাখ টাকা পেতেন। তিনি ক্যাসিনোর পাশাপাশি গুলিস্তানের ছয়টি মার্কেটের চাঁদা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এসব মার্কেট, মতিঝিল ও গুলিস্তানের ফুটপাত থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ লাখ টাকা চাঁদা পেতেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া চাঁদার ভাগ দিতেন তাঁকে। 

র‍্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট বলেছেন, টাকার হিসাব-নিকাশ রাখতেন তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আরমান। আরমান সেই টাকার ভাগ দিতেন আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার এবং কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে। 

প্রসঙ্গত, ক্যাসিনো–কাণ্ডের পর মতিঝিল বিভাগের তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও ডিবির একজন কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় জুয়ার আস্তানা মেরিনা বে স্যান্ডস ক্যাসিনোতে ভিআইপি মর্যাদায় গ্রহণ করা হতো সম্রাটকে। মমিনুল হক বাংলাদেশে ক্যাসিনো খেলার সূচনা করেন। অবৈধ টাকা ব্যবহারের তথ্য পাওয়ায় সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিআইডি।

গত বছরের ৬ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সেই সময়ের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট ও একই কমিটির সহসভাপতি এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে সম্রাটের তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালান। এই ভবনে সম্রাটের কার্যালয় ছিল। সেখানে ক্যাঙারুর চামড়া পেয়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গ্রেপ্তারের পর দুজনকেই যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করে র‌্যাব।

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব ও সিআইডি। 

র‍্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাবসহ মতিঝিলে চারটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর পাশাপাশি সরকারি সাতটি প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি করার কথা জানান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, রাজউক, রেল ভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার ফকিরাপুল জোন। শাহজাহানপুরে রেলওয়ের জমি দখল করে দোকান ও ক্লাব নির্মাণ করেছেন তিনি। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে কোটি টাকা অর্থ পাচার করেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

সিআইডি সূত্র জানায়, খালেদের বিরুদ্ধে হওয়া মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, ইয়াবা, টাকাসহ ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ইয়ংমেনস ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি এবং মতিঝিল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করে র‌্যাব। 

জি কে শামীম
র‌্যাব ও সিআইডি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বহিষ্কৃত যুবলীগের নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম (জি কে শামীম) বলেন, তিনি টেন্ডারবাজি করতেন। কাজ পেতে গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দেসহ অন্তত ১০ কর্মকর্তাকে চাঁদা দিতেন তিনি। আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী সাংসদ ও যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যানকে চাঁদা দেওয়ায় কাজ পেতে তাঁর জন্য সহজ হতো। তিনি দুই হাজার কোটি টাকায় বিভিন্ন সরকারি ভবনের নির্মাণকাজ করেছেন।

সিআইডি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম বলেন, তিনি ৩৪৫ কোটি টাকার মালিক। ১৯টি ব্যাংক থেকে তিনি ১৪৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে ঘুষ দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে কাজ বাগিয়ে নেন। এ ছাড়া তাঁর সাত দেহরক্ষীর জন্য তিনি বৈধ অস্ত্র কেনেন। দেহরক্ষীরা এসব অস্ত্র ব্যবহার করে কাজ বাগিয়ে নিতেন। তিনি বান্দরবানে সিলবেন ওয়াই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডে রিসোর্ট করতে অন্যদের সঙ্গে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ঢাকায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে তিনি ১৫টি জমি কিনেছেন।

জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্স কার্যালয় থেকে জব্দ করা ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১৮১ কোটি টাকার সম্পদ ও ৯ হাজার ডলার বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে সিআইডি। তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলার অভিযোগপত্র প্রস্তুত করছে সিআইডি।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে র‌্যাব প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুই শ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পায়। তখন শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব এ ঘটনায় শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে।

সেলিম প্রধান
র‌্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে অনলাইন ক্যাসিনোর মূল ব্যক্তি সেলিম প্রধান বলেছেন, তিনি বাংলাদেশে প্রথম অনলাইন ক্যাসিনো চালু করেন। ঢাকার গুলশান ও বনানীতে সেলিম প্রধানের পরিচালিত পি–২৪ এবং টি–২১ অনলাইন ক্যাসিনোর মূল সদর দপ্তর ফিলিপাইনে। সেখানকার সার্ভার থেকে গুলশানের এই অনলাইন ক্যাসিনোর নিয়ন্ত্রণ করা হতো। তিনি যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ডে টাকা পাচার করেছেন। থাইল্যান্ডে তাঁর বাড়িঘর ও ব্যবসা আছে।

গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর র‌্যাব অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে আনে এবং তাঁর দুই সহযোগীসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁর গুলশান ২ নম্বরের বাসা, অফিসে ও বনানীর অফিসে অভিযান চালিয়ে নগদ ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রাসহ বিভিন্ন মালামাল আটক করে। আটক করা মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে সিআইডি। 

লোকমান হোসেন ভূঁইয়া
র‍্যাব জানায়, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, মোহামেডান ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো ভাড়া দিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ ও এএনজেড ব্যাংকে ৪১ কোটি টাকা পাচার করেছেন।

সিআইডি জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে হওয়া মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করার কাজ করছে সিআইডি।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে র‌্যাব-২–এর একটি দল তেজগাঁওয়ের মণিপুরিপাড়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে চার বোতল মদসহ লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র‌্যাব।

আরও গ্রেপ্তার
গত ১১ অক্টোবর র‍্যাব ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান ওরফে মিজানকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের একটি বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ আটক করে। তাঁর বাসা থেকে ১ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর), বিভিন্ন ব্যাংকের সই করা যেসব চেক উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলোতে লেখা টাকার অঙ্ক যোগ করে মোট ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার হিসাব পান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র‌্যাব।

এই অভিযানের শেষ দিনে গ্রেপ্তার হন ময়নুল হক। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তিনি টিকাটুলিতে অবস্থিত নিউ রাজধানী ও রাজধানী সুপার মার্কেটের ১ হাজার ৭৮৮টি দোকান এবং ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মাসে কোটি কোটি টাকা চাঁদা তুলতেন। মাদক কেনাবেচার সঙ্গেও তাঁর যুক্ততা আছে বলে র‌্যাব জানায়। 

চাঁদাবাজি–দখলবাজির অভিযোগে গত ১২ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব। গ্রেপ্তারের আগে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারের সময় তিনি কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান ছিলেন। কলাবাগান ক্লাবই প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ক্যাসিনো চালুর উদ্যোগ নেয়। কলাবাগান ক্লাবের আদলে প্রথমে ভিক্টোরিয়া ও পরে একে একে ওয়ান্ডারার্স, ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা, মোহামেডান, আরামবাগে স্লট মেশিন বসে। প্রতিদিন কলাবাগান ক্লাবের আয় ছিল প্রায় কোটি টাকা। এটি তাঁরই নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে র‌্যাব জানায়।

সিআইডির উপমহাপরিদর্শক (অর্গানাইজড ক্রাইম-ডিআইজি) ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ধরা পড়া ব্যক্তিরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট র‍্যাবের কর্মকর্তারা বলেন, ক্যাসিনো ও শুদ্ধি অভিযানে ধরা পড়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য যাচাই–বাছাইয়ে বেশির ভাগ তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের জবানিতে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কাজ চলছে। এ ছাড়া তাঁদের অবৈধ অর্থসম্পদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, সিআইডি ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবস্থা নিচ্ছে।