শিশুটির মাথা পাওয়া গেল রসুনখেতে

নাটোর সদর উপজেলার পাইকোড়দৌল এলাকার বাঁশঝাড় থেকে শিশু হাসান আলীর (১০) মস্তকবিহীন লাশ পাওয়ার তিন দিন পর আজ মঙ্গলবার রসুনখেত থেকে মাথাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছে খবর পেয়ে জেলার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পাইকোড়দৌল গ্রামের একটি রসুনখেত থেকে একটি মাথা উদ্ধার করে। পরে মাথাটি হাসান আলীর বলে শনাক্ত করেন তার বাবা মোজাফফর আলী। মাথাটি সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হবে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ গজ পূর্ব দিকে একটি রসুনখেতে ছিন্ন মাথাটি পাওয়া যাওয়ায় খুনির অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা ধারণা করা যাচ্ছে। পুলিশ মনে করছে, গতকাল সোমবার রাতের কোনো এক সময় ঘাতকেরা মাথাটি রসুনখেতে রেখে গেছে। কারণ গত শনিবার মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে রেখেছিল। ওই জমিতে এর আগে মাথাটি চোখে পড়েনি। হঠাৎ আজ সকালে স্থানীয় লোকজন ছিন্ন মাথাটি রসুনখেতে দেখতে পাওয়া নিয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়। এ থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, ঘাতকেরা আশপাশেই আছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে এ ঘটনার জন্য এখনো চিহ্নিত করা যায়নি।

হাসান আলীর বাবা মোজাফফর আলী বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ ছিল চার দিন। এরপর লাশ পাওয়া গেল। এর তিন দিন পর মাথা পাওয়া গেল। অথচ খুনিরা শনাক্ত হলো না। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

গত রোববার প্রথম আলোয় ‘নাটোরে নিখোঁজ শিশুর মস্তকবিহীন লাশ বাঁশঝাড়ে’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।