মোবাইল ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষক

ধর্ষণের ঘটনাস্থলের আশপাশের ফুটেজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
ধর্ষণের ঘটনাস্থলের আশপাশের ফুটেজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও দুই হাজার টাকা নিয়ে যায় ধর্ষক। ওই ছাত্রীর বাবার করা মামলার এজাহার থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

মামলার এজাহার আজ মঙ্গলবার ঢাকার আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।

এজাহারে বলা হয়েছে, রাজধানীর শেওড়া এলাকায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে গত রোববার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে রওনা দেন ওই শিক্ষার্থী। রাত সাতটার দিকে বাসটি কুর্মিটোলায় থামে। বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে শেওড়ার দিকে হাঁটা শুরু করেন। গলফ ক্লাব মাঠসংলগ্ন স্থানে গেলে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা আসামি (বয়স ২৫ থেকে ৩০) তাঁর গলা চেপে ধরেন। এতে ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পাশাপাশি মারধরও করা হয় তাঁকে।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ধর্ষণকারীর উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। গায়ের রং শ্যামলা। মাথার চুল ছোট। পরনে ছিল জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট। গায়ে ছিল কালো রঙের ফুলহাতা জ্যাকেট। ওই শিক্ষার্থীর ব্যাগ, দুই হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেছেন, ওই ছাত্রী যে স্থানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, সেই স্থানের আশপাশের কিছু ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুতই ধর্ষক গ্রেপ্তার হবে।

রোববার রাতে কুর্মিটোলায় সড়কের পাশে ফুটপাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন।