আ. লীগের উপদেষ্টা হলেন আরও তিন নেতা

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আবুল হাসনাত ও  এ কে এম রহমত উল্লাহ
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আবুল হাসনাত ও এ কে এম রহমত উল্লাহ

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে নাম লেখালেন আরও তিন নেতা। তাঁরা হলেন—সাংসদ ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাবেক সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (চুপ্পু)।

আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এ কে এম রহমত উল্লাহ ও আবুল হাসনাত—দুজনই সম্প্রতি আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটি থেকে বাদ পড়েন। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়নি। দুই মহানগরের সাবেক দুই সভাপতিকে আসলে নতুন কমিটিতে রাখার মতো যথাযথ জায়গা পাচ্ছে না দলের নীতিনির্ধারকেরা। এ জন্যেই প্রবীণ দুই নেতাকে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, এ কে এম রহমত উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে সাংসদ। গত তিন মন্ত্রিসভায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টানা সাংসদ হওয়া প্রায় সবাই স্থান পেয়েছেন। কিন্তু রহমত উল্লাহর জায়গা হয়নি। উপদেষ্টা পরিষদ কম গুরুত্বপূর্ণ হলেও মর্যাদাকর পদ। এ জন্যেই রহমত উল্লাহকে উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে আবুল হাসনাত এর আগে থানা সভাপতি থেকে এক লাফে মহানগরের সভাপতি হয়েছেন। তিনি সাংসদও নন। ফলে মহানগর সভাপতির পদ চলে যাওয়ার পর তাঁর আর কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ই নেই। ফলে প্রবীণ এই নেতাকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়ে সম্মান দেওয়া হয়েছে।

এর বাইরে সাহাবুদ্দিন ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। চাকরি ছাড়ার পর পাবনা থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দলের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে, উপদেষ্টা পরিষদ হচ্ছে দলের চিন্তাকোষ বা ‘থিংক ট্যাংক’। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে দলকে পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৫১ জন।

গত ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। ২২ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে ৪০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন তিনজন নিয়ে এখন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা দাঁড়াল ৪৩ জন।