রিফাত হত্যায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

রিফাত শরীফ। ফাইল ছবি
রিফাত শরীফ। ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই অভিযোগ গঠন করেন। ১৩ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

অভিযোগ গঠন উপলক্ষে এই মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৩ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ ছাড়া আদালতে উপস্থিত হয় জামিনে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক আরেক আসামি। পরে আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। ১৩ আসামিকে আবার কারাগারের শিশু ওয়ার্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক বলেন, রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ আসামির মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। তাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর। তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া অপর অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির (১৬) বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র, সহযোগিতা এবং আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে ৩০২ এবং ১২০ (বি) ১ এবং ২১২ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রেখেছেন আদালত।

এর আগে ৬ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে যশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৩ আসামিকে বরগুনা কারাগারে আনা হয়। আজ অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য থাকায় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়।

জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৩ আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারের শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয়। আদালতে ধার্য তারিখ থাকায় সকালে বরগুনা কারাগার থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে ১ জানুয়ারি এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করা হয়।

গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আয়শার সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর বিকেলে মারা যান। পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক পৃথক দুটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।

মো. মুসা নামের এক আসামি পলাতক রয়েছেন। নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। অন্য আসামিরা কারাগারে।