প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে সংকট নিরসনের পথ দেখাননি: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংকট নিরসনে কোনো পথ দেখাননি। তাঁর ভাষণে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ।

আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। আর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা, যিনি ক্ষমতাসীন দলটিরও শীর্ষ ব্যক্তি। তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এক বছর কেটে গেছে। ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা সরকারের এক বছরপূর্তি হয়েছে। এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বর্তমানে রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল, সংকট নিরসনের একটি পথ তাঁর বক্তব্যের মধ্যে থাকবে। এ নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের কথা বা এমন কোনো ইঙ্গিত দেবেন। জাতীয় সংলাপের ইঙ্গিত দেবেন। কিন্তু কোনোটাই তিনি করেননি। এই সংকট নিরসনের জন্য তিনি কোনো পথই দেখাননি।’

প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্যগুলো দিয়েছেন, তা সত্য নয় জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে মানুষের যে অবস্থার কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাস্তবে তা ছিল উল্টো। ১৯৭৫ সালের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের কারণে এ দেশে চরম দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশে পরিবর্তন ঘটে। বর্তমান অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি করেন জিয়াউর রহমান।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস করেছে বলে দোষারোপ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং সে সময়ে বাসে ১১ জন ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। দেশের রাজনীতির যে সংস্কৃতি ছিল, তা এখনো আছে। দেশে গুম, খুন, হত্যা এখনো রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে তাঁর ওপর ভরসা রাখার কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যাংকগুলো যেভাবে ভেঙে পড়েছে, মানুষ আস্থা রাখবে কোথা থেকে। অর্থনীতির অবস্থা খারাপ, মানুষের জীবন দুর্বিষহ।

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে আত্মতুষ্টির বলে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ওনারা জনগণের থেকে দূরে সরে গেছেন।