মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবার পরিমাণ কমেছে: বিজিবিপ্রধান

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। ফাইল ছবি
বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। ফাইল ছবি

ইয়াবা এখন মিয়ানমার সীমান্ত থেকে আরও উত্তর দিকে এবং বাংলাদেশ সীমান্তের দক্ষিণ দিক দিয়ে ঢুকছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কার্যক্রম জোরদার করার কারণে নাফ নদী হয়ে মিয়ানমার থেকে সরাসরি আসা ইয়াবার পরিমাণ গত এক বছরে ‘অনেকটা’ কমেছে।

বিজিবি ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের (এমপিএফ) উচ্চপর্যায়ের সপ্তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।

এই সম্মেলনে মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ছিল ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের প্রতিনিধিদলই উপস্থিত ছিল। সংবাদ সম্মেলনের প্রথমে পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে দুই দেশের আলোচনা ও সমঝোতার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। বিজিবি ও এমপিএফের মধ্যে পরবর্তী উচ্চপর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনটি এ বছরের মে-জুন মাসে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনো দেশেরই কোনো সন্ত্রাসী বা বিদ্রোহী গ্রুপ তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলে সমঝোতা হয়েছে।

মিয়ানমার সীমান্তে মাইন পুঁতে রাখা এবং সেগুলো অপসারণে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তর দেন তাঁদের প্রতিনিধিদলের একজন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, সীমান্তে মিয়ানমার পুলিশ ফোর্স কোনো ধরনের আইইডি (ইম্প্রোভাইজ ইলেকট্রনিক ডিভাইস) ব্যবহার করে না। সীমান্তে অনেক ধরনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আনাগোনা আছে। তারা করে থাকতে পারে।

রোহিঙ্গারা ইয়াবা ব্যবসা, অস্ত্র চোরাচালানসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে—জানতে চাইল বিজিবি মহাপরিচালক সাফিনুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের জন্য রোহিঙ্গারা এখন উর্বর ক্ষেত্র। ইয়াবা বিক্রির টাকা সেসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মিয়ানমার প্রতিনিধিদল এ বিষয়ে একমত হয়েছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের সহায়তা পাওয়া গিয়েছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক রয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় যখন তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল, তারা সহায়তা করেছিল।