শীত থাকবে, হতে পারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

শীতের প্রকোপে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শিশুসন্তানকে গরম কাপড়ে জড়িয়ে বাইরে বের হচ্ছেন অভিভাবকেরা। গতকাল বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে।  ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
শীতের প্রকোপে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শিশুসন্তানকে গরম কাপড়ে জড়িয়ে বাইরে বের হচ্ছেন অভিভাবকেরা। গতকাল বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

শৈত্যপ্রবাহের দাপট শিগগির কমছে না। দিনে দুই-তিন ঘণ্টা বাদ দিলে বাকি সময়জুড়ে হাড়কাঁপানো শীতের যে দাপট চলছে, তা আজও থাকতে পারে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বাড়তি বিড়ম্বনা বাড়াতে পারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আকাশ মেঘলা হয়ে উঠতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আকাশে মেঘ বেশি থাকতে পারে। ফলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ফসল ও গবাদিপশুর শীতজনিত নানা রোগ-বালাই দেখা দিতে পারে। কৃষকদের কিছু পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ও বালাইনাশক ব্যবহার করতে হবে।

অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে যানবাহন ও নদীতে ফেরি এবং লঞ্চ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল সাড়ে সাত ঘণ্টা বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটা থেকে বুধবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহে মহাসড়ক ধরে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ঘন কুয়াশার কারণে বাস ও ট্রাকের চলাচলের গতি কমে আসে।

গতকাল ভোর থেকে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ স্থানে তীব্র শীতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। দুপুরের দিকে কিছুটা রোদের দেখা পাওয়া গেলেও দিন গড়াতে তাপমাত্রা আবারও কমে আসে। ফলে হাড়কাঁপানো শীতে সাধারণ মানুষ কাবু হয়ে যায়।

টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলা হলদে হয়ে যাওয়া, টমেটোয় হলুদাভ বাদামি রোগ, ঢ্যাঁড়সে মোজাইক রোগ, গমের ব্লাস্ট, আলুর নাভি ধসা রোগ দেখা দিতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জমিতে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী সেচ দেওয়া ও কুয়াশার পানি ঝরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।