মা-ছেলের খুন নিয়ে রহস্য

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় নিজ বাড়িতে প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানকে কী কারণে খুন করা হলো, তা ভেবে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যেরা। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার কাউন্নারা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে পারভিন আক্তার (২৫) ও তাঁর ছেলে নূর হোসেনের (৪) লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পারভিনের দেবর সোলাইমান হোসেনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। সোলাইমান দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন। সেখানে তিনি পড়াশোনা করেছেন। তিন মাস আগে দেশে আসেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কাউন্নারা গ্রামের দোতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিটে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন পারভিন। পারভিনের স্বামী মঞ্জু মিয়া সৌদিপ্রবাসী। প্রায় ১৮ বছর আগে কাজের উদ্দেশে সৌদি আরব যান তিনি। দেড় বছর আগে দেশে এসেছিলেন। ছুটি কাটিয়ে চলে যান।

পারভিনের আক্তারের ভাইয়ের ছেলে মোখলেসুর রহমান বলেন, `ফুফা ১৮ বছর ধরে সৌদি আরব আছেন। সর্বশেষ দেড় বছর আগে দেশে আসেন। ছুটি কাটিয়ে আবার চলে যান। পারভিন ফুফু বাচ্চাকে নিয়ে থাকতেন। কেন এমন ঘটল, আমরা কেউই বুঝতে পারছি না।’

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, পারভিনকে গলা কেটে আর শিশুটিকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা কীভাবে ঘরে প্রবেশ করেছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। কক্ষের দরজা ভাঙা হয়নি, খোলা পাওয়া গেছে। কোনো কিছু খোয়া যায়নি। পারভিনের দেবরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।

ওসি বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।