রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড: মা ও দুই বোন সাক্ষ্য দিয়েছেন

বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দিয়ে বাড়ি ফিরছেন নিহত রিফাত শরীফের মা ডেইজি বেগম। ছবি: প্রথম আলো
বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দিয়ে বাড়ি ফিরছেন নিহত রিফাত শরীফের মা ডেইজি বেগম। ছবি: প্রথম আলো

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিহত রিফাত শরীফের মা ডেইজি বেগম এবং তাঁর দুই বোন অনন্যা ও মৌ আদালতে তাঁদের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।

রিফাত হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক বলেন, আজ নিহত রিফাত শরীফের মা ও তাঁর দুই বোন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার এই মামলার বাদী ও নিহত ব্যক্তির বাবা আবদুল হালিম আদালতে তাঁর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।

১ জানুয়ারি আয়শা সিদ্দিকাসহ ১০ প্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করেন আদালত। তাঁদের মধ্যে এক নম্বর থেকে সাত নম্বর আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০২ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ ও ১০ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে ২১২ ও ১২০ বি ১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ৯ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

এই মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক। আর নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা জামিনে আছেন। আর অন্য সব আসামি কারাগারে।

গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক পৃথক দুটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।

গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাঁর স্ত্রী আয়শা তাঁর পাশে ছিলেন। তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেলে তিনি মারা যান। ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রধান সাক্ষী করা হয় আয়শাকে। কিন্তু শ্বশুর মামলা দায়েরের ১৮ দিন পর গত ১৩ জুলাই এই হত্যাকাণ্ডে আয়শা জড়িত—এমন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেন। ১৬ জুলাই আয়শাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালত আয়শাকে জামিন দেন। ৩ সেপ্টেম্বর আয়শা বরগুনা কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বাবার বাড়িতে আছেন।