মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট

আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদত হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার তিনি প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদ কবিরের আদালতে সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্যে শাহাদত হোসেন বলেন, এ মামলার আসামি আনিসুল রহমান এবং সাক্ষী ফারুক হোসেন ভূঁইয়া ও আবদুল খালেক তাঁর কাছে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বলেন, টাঙ্গাইলের অ্যাডিশনাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত অবস্থায় শাহাদত হোসেন ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট আসামি আনিসুল রহমান ওরফে রাজার এবং ২৮ ডিসেম্বর সাক্ষী ফারুক হোসেন ভূঁইয়া ওরফে সনির ও ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি অপর সাক্ষী আবদুল খালেকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। রাজার স্বীকারোক্তির মাধ্যমেই সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার বিষয়টি বের হয়ে আসে।

শাহাদত হোসেন সাক্ষ্য দেওয়ার পর তাঁকে জেরা করেন সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খানের আইনজীবী মাহবুব আহমেদ ও আবদুল বাকী মিয়া। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার ২৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হলো। পরে গ্রেপ্তার আসামি মো. সমীর ও বাবুর জামিন চান তাঁদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

সাংসদ আমানুর রহমান খান,মেয়র সহিদুর রহমান খান,জাহিদুর রহমান খান,সানিয়াত খান
সাংসদ আমানুর রহমান খান,মেয়র সহিদুর রহমান খান,জাহিদুর রহমান খান,সানিয়াত খান

সাক্ষ্য দেওয়ার সময় মামলার প্রধান আসামি সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইল কারাগারে থাকা আরও চার আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান, মো. সমীর ও বাবুকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা অপর তিন আসামি নাসির উদ্দিন ওরফে নুরু, মাসুদুর রহমান ও ফরিদ আহম্মেদও আদালতে হাজিরা দেন। ৩০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় তৎকালীন সাংসদ আমানুর ও তাঁর ভাইদের নাম বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় আমানুর ছাড়াও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পাসহ ১৪ আসামি রয়েছেন।