দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই, বিএনপিতে থাকতে পারে: তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ঢাকা, ৯ জানুয়ারি। ছবি: পিআইডি
সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ঢাকা, ৯ জানুয়ারি। ছবি: পিআইডি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই। কোনো সমস্যা থাকলে তা আছে বিএনপির মধ্যে। নেতৃত্বের দুর্বলতা ও দিকনির্দেশনাহীন যাত্রা—এসব মিলিয়ে দলটিতে রাজনৈতিক সংকট রয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরীণ এই সংকট তো প্রধানমন্ত্রী সমাধান করতে পারবেন না।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্যের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি মনে করে দেশের সমস্যা রাজনৈতিক। আর তাদের দাবি হচ্ছে শিগগির আরেকটি নির্বাচন দেওয়া। এ দাবি জনগণের নয়, বিএনপির। যে দাবি জনগণের নয়, সেই দাবির যৌক্তিকতা নেই।’

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে কোনো মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, এমন দেশগুলোয় এ রকম কোনো নিয়ম নেই। প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক দেশ ভারত ও পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশ যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা সরকারি প্রটোকল বাদ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞা বিএনপিকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের অসুবিধা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ‘মিডিয়া’ অনেক বেশি বিকশিত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে গণমাধ্যমের তাড়াতাড়ি বিকাশ ঘটেছে। তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) প্রথম দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকসহ সম্প্রচার মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের চাকরির অন্যান্য আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। মাস মিডিয়া এমপ্লয়িজ (সার্ভিস অ্যান্ড কন্ডিশন) অ্যাক্ট পাস হলে সাংবাদিকদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সহসভাপতি নজরুল কবির, যুগ্ম সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।