ঠিক পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ঠিক পথে এগোচ্ছে, নাকি ভুল পথে—জরিপে এই প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীদের ৭৬ শতাংশই বলেছেন, দেশ ঠিক পথে এগোচ্ছে। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ঠিক পথে এগোচ্ছে, নাকি ভুল পথে—জরিপে এই প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীদের ৭৬ শতাংশই বলেছেন, দেশ ঠিক পথে এগোচ্ছে। ফাইল ছবি

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থায় সন্তুষ্ট বেশির ভাগ মানুষ। এ দুই ক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও ইতিবাচক অগ্রগতির বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী। তাঁরা মনে করেন, দেশ ঠিক পথেই চলছে। তবে দুর্নীতি, মাদক, বেকারত্ব, নারী-শিশু নির্যাতন ইত্যাদি দেশের জন্য বড় সমস্যা বলে মনে করেন তাঁরা।

বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশের স্থানীয় একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় গত বছরের ১ আগস্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালানো জরিপটি গত বুধবার প্রকাশিত হয়েছে।

আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোটার হওয়ার উপযুক্ত, অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সী থেকে শুরু করে এর বেশি বয়সী বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৯৩ নাগরিক জরিপে অংশ নেন। বাংলাদেশ ঠিক পথে এগোচ্ছে, নাকি ভুল পথে—জরিপে এই প্রশ্নের জবাবে অংশগ্রহণকারীদের ৭৬ শতাংশই বলেছেন, দেশ ঠিক পথে এগোচ্ছে। ভিন্নমত দেয় ১৫ শতাংশ। আর জানে না বা মন্তব্য করেনি ৮ শতাংশ। দেশের সার্বিক উন্নয়ন, অর্থনীতির ভালো অবস্থা, যোগাযোগ অবকাঠামো, জীবনযাত্রার উন্নত মানকে দেশের সঠিক পথে এগোনোর কারণ মনে করেন এ মতের অনুসারীরা। আর ভিন্নমত পোষণকারীরা উল্লেখ করেছেন, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলো।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ভালো বলে মন্তব্য করেছেন যথাক্রমে ৪৮, ৫৮ ও ৫৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন যথাক্রমে ১৭, ১৩ ও ১৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাব্যবস্থা চলতি বছর ভালো যাবে বলে জানান যথাক্রমে ৪৩, ৫৪ ও ৪৯ শতাংশ উত্তরদাতা। এ ক্ষেত্রে খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন যথাক্রমে ৯, ৬ ও ৬ শতাংশ উত্তরদাতা। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯ শতাংশ বলেছেন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। এরপরই আছে মাদক (১৭%), বেকারত্ব (১০%) ও অপরাধ বা সন্ত্রাস (৭%)।

বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন আছে ৬৬ শতাংশের। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় নতুন দলকে দেখতে চেয়েছেন মাত্র ২১ শতাংশ। আর মন্তব্য করেননি ১৪ শতাংশ। ২০১৮ সালে এ হার ছিল যথাক্রমে ৫৯, ১৬ ও ২৬ শতাংশ। বর্তমানে সরকার, গণমাধ্যম, হাইকোর্ট, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন যথাক্রমে ৮৩, ৬৩, ৫২, ৪৮ ও ৪৪ শতাংশ মতামত প্রদানকারী।