'ক্যাসিনো সাঈদের' প্রতীক লাটিম, স্ত্রীর ঠেলাগাড়ি
‘ক্যাসিনো সাঈদ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অপসারিত কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ডিএসসিসির নয় নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানো সাঈদের প্রতীক লাটিম। একই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে দাঁড়ানো স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ ওরফে বৈশাখীও প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। তাঁর প্রতীক ঠেলাগাড়ি।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ডিএসসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাঈদ ও তাঁর স্ত্রীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ সময় সাঈদ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।
প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন সহকারী রিটার্ন কর্মকর্তা প্রতিভা বিশ্বাস। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদকে লাটিম প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাঁর কাঙ্ক্ষিত প্রতীক ছিল ঠেলাগাড়ি। তাঁর পক্ষে রাশেদুল হক নামে এক ব্যক্তি স্বাক্ষর করে প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন। একই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে দাঁড়ানো সাঈদের স্ত্রী ফারহানা আহম্মেদ ঠেলাগাড়ি প্রতীক পেয়েছেন। তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে প্রতীক বুঝে নিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের সাবেক এই যুগ্ম সম্পাদক দেশে ফিরেছেন গত ২৬ ডিসেম্বর। গত ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাব ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু করলে সাঈদ আত্মগোপনে চলে যান। তিন মাস পর আবার ঢাকায় ফেরেন তিনি। তিনি বিদেশে থাকার সময়ই পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) তাঁর বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এর আগে ২০১৫ সালে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে সাঈদ হলফনামা জমা দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, মেসার্স বৈশাখী এন্টারপ্রাইজ নামে তাঁর একটি ঠিকাদারি ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখান থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা। এর বাইরে তাঁর নগদ টাকার পরিমাণ ৫ লাখ ৫ হাজার ৬৯৭ টাকা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, আসবাব, প্রাইজবন্ড আছে পাঁচ লাখ টাকার আর মূলধন ১ কোটি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯০১ টাকা। এবারের হলফনামা এখনো পাওয়া যায়নি।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাঈদ।