নিখোঁজের চার দিন পর নদীতে মিলল প্রকৌশলীর লাশ

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থেকে মেহেদি হাসান (৩৫) নামে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার পুরান ভাসানচরের ধলেশ্বরী নদী থেকে আজ শুক্রবার দুপুর একটার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মেহেদি আশুলিয়ার বাংলা ক্যাট নামের একটি কোম্পানিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলার গোরহাঙ্গা এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৫ জানুয়ারি বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাজাপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ভেকু মেরামতের কাজে যান মেহেদি ও তাঁর সহকর্মী লিখন। কাজ শেষে বাড়িতে না ফেরায় মেহেদির স্ত্রী খোঁজ শুরু করেন। এ সময় তিনি মেহেদি ও লিখনের মোবাইল ফোন বন্ধ পান। পরে বাংলা ক্যাট কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান তিনি। তারা বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে দুজনকে বুড়িগঙ্গা নদী পার করে দিচ্ছিলেন বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজের ট্রলারচালক। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ট্রলারটি বক্তাবলি এলাকায় পৌঁছালে একটি জাহাজ ট্রলারের কাছাকাছি চলে আসে। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে চালকসহ মেহেদি ও লিখন নদীতে ঝাঁপ দেন। ট্রলারচালক সাঁতরে তীরে উঠলেও মেহেদি ও লিখনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, স্থানীয়রা মেহেদির মরদেহ নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। শুক্রবার দুপুরে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাম পায়ের গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ক্ষতবিক্ষত ছিল। কপালেও কাটা দাগের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে জাহাজের পাখার আঘাতে এমনটা হতে পারে। পরিবারের সদস্যরা মেহেদির মরদেহ শনাক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।