রাজৈরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের রাজৈরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন। উভয় পক্ষের ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ১০টি বসতঘর। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের উত্তর হোসেনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম বাবুল মুনশি (৪৫)। তিনি উত্তর হোসেনপুর এলাকার মজিদ মুনশির ছেলে। তিনি রংমিস্ত্রির কাজ করতেন।

আহত ব্যক্তিদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে আটজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন সিরাজ খালাসি (৪০), জুলফিকার খালাসি (৫৫), কহিনুর খালাসি (৪৫), সজীব মুনশি (৪৫), দেলোয়ার মুনশি (৩০), বাবুল মুনশি (৪৫), রিপন মুনশি (৪৫) ও হাসান শেখ (৩৫)। পরে তাঁদের মধ্যে কহিনুর, হাসান, বাবুলসহ চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুপুরে ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুলের মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সালিস ও এলাকার নেতৃত্ব নিয়ে উপজেলার হরিদাসদি মহেন্দ্রদি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেলোয়ার মুনশির সঙ্গে একই এলাকার জামাল খালাসির বিরোধ চলে আসছিল। তাঁদের মধ্যে গত এক মাসের ব্যবধানে তিন থেকে চারটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে দেলোয়ার মুনশির সমর্থকেরা দেশি অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেন। এতে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে হরিদাসদি মহেন্দ্রদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, দেলোয়ার ও জামাল এই দুজনই আওয়ামী লীগ করেন। তাঁরা দুজনই ১ নম্বর ওয়ার্ডের নেতৃত্ব চান। তাঁদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাঁদের এই দ্বন্দ্বেই সাধারণ একজন মানুষ মারা গেল।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার শওকত জাহান প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলমান থাকায় রাতেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আজ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের আরও ছয়জনকে আটক করা হয়। দুই পক্ষের মারামারিতে নিহত ব্যক্তি কোন পক্ষের তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।