'বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বিজয়ের আলোকবর্তিকা নিয়ে চলতে চাই'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ঢাকা, ১০ জানুয়ারি। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ঢাকা, ১০ জানুয়ারি। ছবি: পিআইডি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৪ বছরের সংগ্রামের পর দেশ স্বাধীন করার মাধ্যমে যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা দিয়েছেন, তা নিয়ে সরকার সামনে চলতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘লোগো’ উন্মোচনের মাধ্যমে দেশব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে বিজয়ের আলোকবর্তিকা তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন তা নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। এ বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সাথে চলবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দেশে এক কালো অধ্যায় এসেছিল। সেই কালো অধ্যায় যাতে আর কোনো দিন দেশের মানুষের ওপর ছায়া ফেলতে না পারে সে বিষয়ে প্রত্যেককে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ঢাকা, ১০ জানুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশে প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ঢাকা, ১০ জানুয়ারি। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে একে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, আজকের দিনে সেই কামনা করি।’

জাতির পিতার বড় সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশ এখন উজ্জ্বল আলোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এটা আমাদের প্রত্যয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা দুর্ভাগ্য যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেখানে বঙ্গবন্ধুকে চেষ্টা করেও হত্যা করতে পারেনি, সেখানে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছিল। যখন তিনি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছিল, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আজকে সেই ভাষণ ইউনেসকো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।’

আরও পড়ুন: