বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা দেশে-দেশে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গতকাল শুক্রবার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস (১০ জানুয়ারি) উদ্‌যাপন করা হয়েছে। কলকাতা, ব্রাসেলস, টোকিও, ক্যানবেরা, ইসলামাবাদ, করাচি, কলম্বো, সিউল, কায়রো ও হ্যানয় থেকে বাংলাদেশ মিশনগুলোর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ভারতের কলকাতা থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি জানান, কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত-বার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম দূরদর্শন–এর সাবেক কর্মকর্তা ও কবি পঙ্কজ সাহা। বাংলাদেশে ক্ষণগণনা উদ্বোধনের জাতীয় অনুষ্ঠান ঢাকা থেকে কলকাতার অনুষ্ঠানস্থলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়। এরপর উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য দেন দূতাবাসের চার্জ দ্য আফেয়ার্স শাহিদা আকতার। পরে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি ওয়েব ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে। ক্ষণগণনার ঘড়ি স্থাপনের পর অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান স্বাধীনতার মহান স্থপতির কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও করাচিতে উপহাইকমিশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা সভা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান এবং করাচিতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার নুরে হেলাল সাইফুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন।

ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে মোমবাতি জ্বালিয়ে ক্ষণগণনার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ ছাড়া আলোচনা সভা এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা ছিল। আলোচনায় অংশ নেন ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ।