বাড়ির পাশেই মিলল শিশুর বস্তাবন্দী লাশ

তোফাজ্জল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
তোফাজ্জল হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পর তোফাজ্জল হোসেন নামের সাত বছর বয়সী এক শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটি উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাঁশতলা গ্রামের জুবায়ের হোসেনের ছেলে। তোফাজ্জল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জুবায়ের হোসেনের প্রতিবেশী হবি মিয়ার ঘরের পেছনে লাশটি বস্তাবন্দী ছিল। রক্তাক্ত লাশের ডান চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেল থেকে তোফাজ্জল নিখোঁজ ছিল। সেদিন বাড়ি থেকে খেলতে গিয়ে আর ফেরেনি। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে লিখিতভাবে জানায় তার পরিবার। আজ শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে জুবায়ের হোসেনের প্রতিবেশী হবি মিয়ার ঘরের পেছনে তোফাজ্জলের বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা কালা মিয়া (৬০) ও তাঁর ছেলে সেজাউল কবিরকে (২৮) আটক করেছে।

তোফাজ্জল হোসেনের বাবা জুবায়ের হোসেনের অভিযোগ, গ্রামে কালা মিয়ার ছেলে সেজাউল কবিরের সঙ্গে তাঁর বোনের বিয়ে হয়েছে। সেজাউল প্রায়ই তাঁর বোনকে মারধর করতেন। এ ঘটনায় গত বুধবার আদালতে তাঁরা একটি মামলা করেছেন। এরপর সেজাউলের পরিবারের তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলেকে সেজাউল ও তার পরিবারের লোকজন অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করেছে।’

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, তাঁরা ঘটনাস্থলে আছেন। তোফাজ্জলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই গ্রামের দুই ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।