উত্তরের মানুষ শীতের কষ্টে, ফখরুল ঢাকায়: কাদের

নীলফামারী: শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইভ স্টার মাঠ, সৈয়দপুর, নীলফামারী। ছবি: এম আর আলম
নীলফামারী: শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফাইভ স্টার মাঠ, সৈয়দপুর, নীলফামারী। ছবি: এম আর আলম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাড়ি উত্তরবঙ্গে। এখানকার মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। অথচ তিনি ঢাকায় বসে আছেন। তিনি জনগণের পাশে নেই।

আজ শনিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের ফাইভ স্টার মাঠে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রংপুর বিভাগের মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগের নেতাদের হাতে ৫০ হাজার শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে নীলফামারী ও সৈয়দপুরের জন্য তিন হাজার করে কম্বল দেওয়া হয়। নেতারা এসব বস্ত্র বিতরণ করবেন।

অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। আমরা সকল দুর্যোগে মানুষের পাশে আছি। দেশে একজন মানুষও যেন শীতে কষ্ট না পায়, সে জন্য প্রয়োজনে আরও কম্বল পাঠানো হবে। উত্তরবঙ্গকে নেত্রী অনেক ভালোবাসেন। এখানকার নারীরা অনেক কর্মঠ। এ জন্য এখান থেকে দুজন নারীকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দিয়েছেন তিনি।’

বক্তৃতাকালে ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার বিশ্বস্বীকৃত। এটি আধুনিক ভোটিং ব্যবস্থা। বিএনপি এই আধুনিক ব্যবস্থা চায় না। তারা ইভিএম তথা ডিজিটাল পদ্ধতির বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে চলেছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না বলে প্রশ্ন তুলছে।’

সৈয়দপুর শহরে বিহারি সম্প্রদায়ের অনেকে বাস করেন। এ সম্প্রদায়ের লোকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে বিহারি, বাঙালি মিলেমিশে যাঁরা আছেন, তাঁরা আমাদের ভাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিহারিদের পুনর্বাসনে সব রকম পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এতে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান প্রমুখ।