দেশে ধর্ষণ মহামারি আকারে: ড. কামাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ সারা দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ সারা দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে নারী ধর্ষণ যে মহামারি আকার ধারণ করবে, তা কল্পনাও করা যায় না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিরাপত্তা দিতে না পারলে ব্যর্থতা স্বীকার করে যোগ্য সরকার গঠন করতে হবে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ সারা দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকারকে আমরা বিশেষ করে বলতে চাই, তাদের একটা ন্যূনতম দায়িত্ববোধ আছে। এক নম্বর দায়িত্ব হলো দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। নারী ধর্ষণের ঘটনা যে মহামারি আকার ধারণ করবে, তা কল্পনা করা যায় না।’

ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘যারা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেন, তাঁদের দায়িত্ব হলো জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, নারীদের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে তাঁরা যেভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন, পত্রিকা খুললেই তা প্রত্যেক পাতায় পাওয়া যায়। কেন? এর উত্তর আমরা দিতে চাই না। আমরা চাই এটা দ্রুত বন্ধ হোক, এর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। না পারলে জনগণকে সুযোগ দেন, যোগ্যদের দিয়ে সরকার গঠন করে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাজকে সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করুক।’

কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশে প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র নেই। বলা হয় সংসদ আছে, সাংসদ আছেন। সেখানে কি এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? সংসদীয় গণতন্ত্র থাকলে সাংসদেরা যে দাবি করতেন, সেটিই আমরা এখানে বলছি।’ এ সময় কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করার আহ্বান জানান কামাল হোসেন।

মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, এই দেশ কি সম্ভ্রমহানির রোল মডেল? সেই প্রশ্ন আজ সরকারকে করতে হবে এবং সরকারকেও জবাবদিহি করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুই সত্যিকারের ধর্ষক কি না, সে প্রশ্ন তোলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘কোনো জজ মিয়া নাটক দেখতে চাই না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করার যে ষড়যন্ত্র করছেন, ছাত্ররাজনীতি ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র করছেন, ডাকসুর ভিপিসহ সমস্ত ছাত্রনেতাকে যেভাবে নির্দয়ভাবে প্রহার করেছেন, সেটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য যদি নতুন ব্যবস্থা করেন, সেটিও মানা হবে না।’

মানববন্ধনে গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোশতাক আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জগলুল হায়দার, বিকল্পধারার নুরুল আমিন ব্যাপারী, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন প্রমুখ।